আজও কি তুমি আড়ি পেতে আছ এই যামিনীতে
সব ভাললাগা মনে পড়ে যায় আকাশ ভরা রাতে
যখন আমি গানে গানে ভাসি তখন কি তুমি সুর মেলাও গুনগুনিয়ে?
ছুঁয়ে যাই অস্ফুট কলি মধুর চুম্বনে তার আস্বাদন মনের গভীরে
নারকোল গাছের ফাঁকে প্রথম সূর্য দেখা ছাদের পরে,
নীল আকাশে পরিযায়ী পাখিরা উড়ে যায় পূব থেকে পশ্চিমে সেই বিলের টানে
না বলা-কওয়া মেঘগুলো যখন জটলা করে দ্বিপ্রহরে পাহাড়ের চুড়ায়
অশনির হুংকারে ঠোঁট ফুলিয়ে ঝরে ওরা অঝোরে
উচ্ছ্বসিত ঝর্ণার প্রাণের সঞ্চারণ নদীপথে, রাগরাগিণীর আলাপন আমার জানালায়
কবিতার আল্পনায় আঁকা দৃষ্টি যায় সে’দিনে
পঞ্চদশী কুমারী স্কুলব্যাগ কাঁধে বাড়ি ফেরা পথে
ভিজে ছিল জল ভরা মাঠে গোলাপি চিঠির আশে
একটানা নালিশ জানাচ্ছিল শালিক সঙ্গীর বিষাদে।