তোমরা যারা দম্ভভরে পুরুষত্ব
জাহির করো
নারীর সমান স্নেহ—মমত্ব
কখন কি দেখাতে পারো ?
নিজেকে নারী দেয় জ্বালিয়ে
সুগন্ধি ধূপের মতো
বিনিময়ে, পুরুষ তোমরাই বলো
মর্যাদা কি তারে দাও ততো?
সেবায় নারী মায়ের মতন
মমতায় সে বোন
বিছানায় তোমার বিলাসসঙ্গী
বহুরূপী নারীর গুণ!
পুরুষ ! তোমার তৃষ্ণা অসীম
আনপথে ধায় বার বার
নারী স্বাভিমানী বড়ো অভিমানী
বুকেতে তার—-পাষাণভার !
পুরুষ ! তোমার ত’রে নারীর অবদান
যাপিত জীবনভর
বিনিময়ে— কি দিলিরে পুরুষ
লজ্জা নাইকো তোর?
বিবেক দোরে তালা দিয়ে তো
ঘুরিস যেথা খুশি
নারী বুনে নকশিকাঁথা
শীতার্ত রাতে বসি
সোহাগ চিহ্ন সীমন্তে আঁকে
পুরুষ ,তোমার জন্য
কল্যাণ কামনায় কত ব্রত রাখে
তারেই করো না গন্য
স্বপ্ন পুড়ে পুড়ে খাক্ হয় তার
পুরুষ!তোমার জন্য
মান–জ্ঞান– হুঁশে ফিরবে কবে?
প্রশ্ন টা———-সেজন্য
নারী শুধুই নয়কো পুতুল
কলের মতন নড়বে
আজকের নারী —বহ্নি সমতূল
মর্যাদার জন্য লড়বে
নারী শুধু নয়কো দাসী -শয্যাসঙ্গিনী
নয়কো শুধুই—–ভগিনী
নয়কো শুধুই —–জননী
নয়কো শুধুই —– ঘরনী
পুরুষ ! মনে রেখো,নারীও সমান
দিতে হবে নারীকে প্রাপ্য সম্মান
পুরুষ ! তুমি মনে রেখো সততঃ
নারীসত্বা আজ জাগ্রত
আমি নারী –আমি সব পারি
আমি বিবর্তন আনতে পারি ।