তোমাকে কি পেয়েছি, যেভাবে
এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে চায়
কি চাই আমি সেটাই তো স্পষ্ট নয়!
তুমি কি আমার স্বপ্নের রাজকন্যা?
তুমি কি আমার কবিতা?
না কি অনুভূতি দিয়ে দেখা এক
বৃক্ষ মানুষ যার আশ্রয়ে শান্তি আসে!
শব্দরা ঘুরে বেড়ায় অলস মস্তিষ্কে!
পায়চারি করে আমার হাতঘড়ির সময়
ঘর,বারান্দা পেরিয়ে ব্যস্ত রাজপথে পথে,
এরাস্ত ওরাস্তা পেরিয়ে রবীন্দ্র সদন,
নন্দন, প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বিদায়ী
আলোক রশ্মির দেখা বা গঙ্গার পাড়
ঘেঁষে আমার প্রেমিকার আঙুল ধরে
অলস ভ্রমণ।
প্ৰতি বিনিদ্র রাতে আলোকবর্ষ দুর
ভেসে আসে…
কাছে এসো প্রিয়,এসো আরো নিবিড়ে !
নিদ্রা জাগরণের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি ভোর
দেখি উলঙ্গ চোখে ।
বিড়ম্বিত তুমি লুকোচুরির খেলায় মেতে
টুকি ডাক দিয়ে বল– এসো এসো কাছে
এসো প্ৰিয় সুখী সুখী জীবনের
অতৃপ্ত ঘামে মিশে যাই দুজন।
ঝুরঝুরে নিষিদ্ধ দেওয়াল নড়বড়ে
তাই আশ্রয় অন্য গৃহে যাওয়ার!
জানি এটাও –
একদিন সে নড়বড়ে প্রাচীর সত্যিই
ধূলিসাৎ হবে!
সর্বস্বান্ত হবার ভয়াবহতা থেকে
বাঁচতে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে,
ধুলো বালি জল দিয়ে আবার
আমার প্রেমিকার মূর্তি বানাই