অর্কবিহীন এমন ঘন তমসায়
বিজুলী থেকে থেকে চমকায়
ভীত বনানী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায়
নামে যদি ভারী বর্ষা মুশলধারায়?
বন্যায় যদি সব ভেসে যায়
আশ্রয় খুঁজে কে পাবে কোথায়?
স্রোতের টানে বুঝি দেবতাও হারায়
বিপর্যয়ে সে ও যে হয় অসহায়।
শাখীহারা বনবীথি,মানুষ দিশাহারা
নীড়হারা জীবকূল হয় শাবকহারা
ধ্বংস দেখে দেবতা থাকে নির্বিকারে
অসহায় মানুষ কাঁদে নির্মম হাহাকারে।
তপ্তমেদিনী থাকে তবু আশায়
তীব্র দহনে ভরবে বুক তার বর্ষার ছোঁয়ায়
গর্ভবতী মেঘের নবধারাজলে
শুষ্কমেদিনী সাজে সবুজে শ্যামলে।
কুসুমিত ফুল থাকে শোভিত কাননে
অলিরা নেচে বেড়ায় গুঞ্জনে গুঞ্জনে
নদী ভরে ওঠে দুকূল ছাপিয়ে
মীনেরা দাপিয়ে বেড়ায় ঝাঁপিয়ে।
দীঘিকূল ভরে সবুজ শেওলায়
আনন্দে ভেকেরাও গান গায়,
নাচে কাশবন চামর দুলিয়ে
শরতের আগমনী বার্তা নিয়ে।
বিশ্বসাথে হয় অপার আনন্দযোগ
ঝরা পাতায় থাকে হেমন্তের অভিযোগ
ঘন কুয়াশায় শীতের আহ্বান
শিমুল পলাশ গায় বসন্তের গান।