নিশুতি রাত নিস্তব্ধ চারিদিক
তার মাঝে চেয়ে আছে দুটি চোখ
বিনিদ্র রজনী কাটাবে বলে।
জানালার পাশে তখন শিয়ালের ডাক
হুক্কা হুয়া হুক্কা হুয়া
নিশুতি রাত গিলতে আসছে
এর মাঝেই মনে হলো যেন!
পাশে বসে কেউ কাঁদছে।
জনমানবহীন একলা ঘরে
কেউ কাঁদছে কেন অমন করে?
সম্বিত ফিরতেই মনে হলো
এ তো আর কেউ নয়;
কেঁদে চলেছে আমারই অন্তরাত্মা
তারই আওয়াজ শোনা যায়।
কাঁদছে কেন অন্তরাত্মা, বোঝাটাই বড় দায়
আজ যে জীবন বড় অন্ধকার, অস্থিরতা বিশ্বময়,
সুখে যে নেই বিশ্ববাসী, তাইতো কাঁদছে হৃদয়।
প্রেমে তো ধোঁকা খায়নি সে যে
তবুও কাঁদছে হৃদয়!
বাইরে তখন অঝোর ধারায় বর্ষণ
ঘরের ভিতরে নিকষ কালো অন্ধকার,
মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঝলকানি
চোখ রাঙিয়ে দিয়ে যায়।
মনের ভিতরে উঠেছে অন্তরের ক্রন্দনরোল
বাইরের বর্ষণ হয়তো কমে যাবে:
অন্তরের এই ক্রন্দনরোল কি কখনো কমবে?