“আকাশ টা আজ মা রঙা
নীলের সামিয়ানা,
চোখ জুড়ানো মন ভুলানো
যেমন আমার মা!
অসীম আকাশ আলো চুমে
আমায় যখন ডাকে,
তখন আমি সেথায় দেখি
স্বার্থ বিহীন মাকে!
ফুলের বাগে ফুটন্ত ফুল
বাতাসে দোল খায়,
ঠিক যেনো মা বলছে, ওরে
আমার কাছে আয়।
শালিক, টিয়ে চড়ুই ডাকে
নদীতে হিল্লোল,
শান্তি অপার, মুঠোয় যেনো
মায়ের ই আঁচল।
কিশোর বেলা সঙ্গী নিয়ে
এক্কাদোক্কা খেলা,
মায়ের ছোঁয়া আনন্দ সে
নেইকো অবহেলা।
নেচে নেচে আল পথে যায়
এক কিশোরী মেয়ে,
মা-সুখ যেনো তখন থাকে
আমার মনে ছেয়ে।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ভেজা
শীতে’র কাঁপন, আর
অবারিত মাঠ ফসলের
সেই হাসি ও মা’র।
পশ্চিমে ‘তে সূয্যি পাটে
কাক জোছনা’য় ঢল,
মায়ের হাতে সান্ধ্য প্রদীপ
পবিত্র, উজ্জ্বল।
গোটা গোটা অক্ষরে মোর
সব কবিতার খাতা,
মায়ের গন্ধ আনন্দ সে
নকশীকাঁথা পাতা!
মায়ের বুকে স্তন্য সুধা
মার সোহাগী ওম,
বিশ্ব আমার মা জননী
সৃষ্টি অনুপম!
মা রঙা আকাশ দেখে
বাহির পানে ধাই,
তাবৎ সুখে মায়ের ছোঁয়া
মার তুলনা মা-ই!