পরম পুরুষ শ্রী রামকৃষ্ণ
তুমি যুগ অবতার,
সুকৃতি নাই তবু মাগি ঠাঁই
হে দয়ার পারাবার।
মন্দিরে গিয়ে অঞ্জলি নিয়ে
চরনে করেছো দান,
বলেছো জননী দেখা দে এখন(ই)
নইলে ত্যাজিব প্রাণ।
দিব্য আলোকে সহসা ঝলকে
ভবতারিণী’র গেহ,
সমুখে মা তারা তুমি জ্ঞান হারা
সে আর জানে’না কেহ।
মা হাত বাড়ায় বলে বাছা আয়
কেনো সারা হোস কেঁদে?
মা যে অন্তরে চেয়ে দেখ ওরে
মা নয় পুরান বেদে!
আবেশ বিভোর হয়ে গদাধর
হারাতে বাহ্য জ্ঞান,
নয়ন ধারায় বুক ভেসে যায়
মুখে মা’র জয়গান।
মা’কে যে পেয়েছে সে লীলা বুঝেছে
অন্যে বুঝানো দায়,
যে বুঝে -সে বুঝে -সে ই মা’কে খুঁজে
স্থান চায় রাঙা পায়।
ওহে মুঢ় মন জপ অনুক্ষণ
“জপাত সিদ্ধি ” জেনে,
জগত জননী শ্রীভবতারিণী
জড়াবেন কাছে টেনে।
প্রেম ভক্তি ‘তে, যে পারে বাঁধিতে
তাঁর নেই সংশয়,
স্বরণে মননে বলো ক্ষণে ক্ষণে
শ্রীরামকৃষ্ণ জয়।