“জটিল, অপরিষ্কার মনের মানুষেরা কখনো
কারো মনে জায়গা করতে পারে না “
এই কথাটি যদি মেনে নিতে হয় বা বিশ্বাস করতে হয় তবে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে।
মানুষটা যে জটিল, অপরিষ্কার মনের অধিকারী
বুঝবে কি ভাবে ?
কারো মনের গভীরে প্রবেশ না করে শুধু বাহ্যিক আবরণ দেখে বোঝা যায় ?
প্রত্যেকটা মানুষের একটা নিজস্বতা থাকে।
যখন সে একদম একা থাকে তখন সে নিজের সঙ্গে কথা বলে,
নিজেকে নিয়ে ভাবে!
মোট কথা একাকীত্বের মধ্যে নিজেকে নিজের মত করে পায়।
সারাদিনের ব্যস্ততা,কত মানুষের ভিড়,
সব কিছুর মধ্যে সে নিজেকে হারিয়ে ফেলে।
হারিয়ে ফেলে বললে কথাটা ঠিক হবে না
সব কিছুর মধ্যে সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে।
ঠিক যেমন শামুক।
নরম তুলতুলে শরীরটাকে একটা শক্ত খোলসের আবরণে লুকিয়ে রেখে দিব্যি চলাফেরা করে।
মানুষ ও ঠিক তাই তার সেই নিজস্ব সত্তা কাউকে দেখাতে চায় না।
যন্ত্রনা গুলোকে সারাদিনের জন্য লুকিয়ে রাখে।
কারণ সে হেরে গেলে যে চলবে না!
প্রতিদিন আবার নতুন করে গড়ে নিতে হবে নিজেকে।
বাইরে থেকে কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না
সে কতটা ক্ষত বিক্ষত।
আমি এমন মানুষ দেখেছি যারা কথায় কথায় চোখের জল ফেলে, নিজের দুঃখের কথা শোনাতে চায়।
আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় আমি এতটুকু বলতে পারি
এইসব মানুষদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
এরা একমাত্র নিজেকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তারা জঘন্য তম
কাজ করতে পিছপা হয় না।
তাই জটিল, অপরিষ্কার মনের মানুষ চিনতে হলে বাহ্যিক আস্তরণে ভুললে হবে না তার মনের গভীরে প্রবেশ করতে হবে।
সেটা সবাই পারে না।