ছোট্ট একটা শব্দ ‘ ভালোবাসি ‘।
এই শব্দটির জন্য কোনো লেখাপড়া লাগে না,
কোনো ব্যাকরণগত বিশ্লেষণও লাগে না।
এমনকি আবেগ, অনুভূতি এসব কিছুই লাগে না!
শুধু মুখে বললেই হবে ‘ ভালোবাসি ‘ !
এ আবার এমনকি বড় কথা !
কত সহজেই তো বলা যায় ‘ ভালোবাসি ‘।
বাংলা ব্যাকরণের চারটি ব্যঞ্জনবর্ণ ও
তিনটি স্বরবর্ণের মিলিত সহবস্থানেই তো ‘ ভালোবাসি ‘
শব্দটার সৃষ্টি।
এর আবার গূঢ় কোনো অর্থ থাকতে যাবে কেন !
ভালোবাসি মানে ভালোবাসি।
চিৎকার করে বলা যায় ‘ ভালোবাসি ‘,
ফিসফিস করেও বলা যায় ‘ ভালোবাসি ‘।
এ তো এমন কোনো কঠিন কিছু না।
তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ, ‘ ভালোবাসি ‘ শব্দটা
অহরহ ব্যবহার করে।
কিন্তু এই ‘ ভালোবাসি ‘ শব্দটা হঠাৎ করেই প্রতিবাদ করতে চাইছে।
ও চিৎকার করে বলতে চাইছে, ” দয়া করে তোমরা
আমার এই ‘ ভালোবাসি ‘ নাম টা কলুষিত কোরো না !
তোমরা আমাকে তোমাদের ঠোঁটের অবস্থান থেকে মুক্তি দাও।
মনে যখন আমার কোনো স্থান নেই, শুধু শুধু ঠোঁটে থাকতে চাই না।
তাই বিদায় চাইছি, চির বিদায়!
তোমরা বরং তোমাদের মনে যত্নে লালন করা
‘ ঘৃণা, হিংসা, অহংকার , লোভ, লালসা এগুলো নিয়েই
খুশি থাকো ।
তোমাদের জন্য এগুলোই উপযুক্ত।
ভালোবাসি শব্দটা হাস্যকর লাগে।