সুষমবাবু
গণ্যমান্য রাশভারী ব্যক্তি সুষম গাঙ্গুলী।তার তিন মহলা বাড়ী শিবপাড়া লেনে এই তল্লাটে একটিই।বাড়ীর সংলগ্ন চওড়া লাল রকটি পাড়ার ছোকরাদের কাছে খুব লোভনীয়। কিন্তু বিরক্ত সুষমের সাথে প্রায়ই ভুলু,রুকু,টিনু,চিকুদের বচসা হয়।একদিন কলহ চরম আকার ধারণ করে।
সুষম বললেন, তোদের বাড়ীতে বসে আড্ডা মার না।
ওরা সব্বাই এ ওর মুখের দিকে তাকায়।ভদ্রলোক অপমান করছে।ওদেরও অপমানবোধ আছে।
চরম অপমানিত ভুলুরা সমস্বরে বলল, আপনার রকটা আমাদের আড্ডা মারার জন্য খুব পছন্দ।বাড়ীতে জায়গা কোথায়?
ভীষণ ক্ষিপ্ত সুষম রক্তচক্ষু নিয়ে বলে উঠলেন, ভাগ!ভাগ! না গেলে পুলিশ ডাকব।
ভয়ের তাড়নে ওখান থেকে ওরা চম্পট দিল। আর বসে না ঐ রকে।
এদিকে ষাটোর্দ্ধ সুষম ভয়ানক উচ্চ রক্তচাপে বাথরুমে যেতে যেতে মাথাঘুরে পড়ে।ডাক্তার জানায়, ওনার স্ট্রোক হয়েছে।হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
দুঃসংবাদটি হাওয়ায় ভেসে ভুলুদের কানে পৌঁছুলে ওরা তৎক্ষণাৎ সুষমের বাড়ীতে আসে।এম্বুলেন্স ডাকে।হাসপাতালে ভর্তি হয় সুষম। দুবেলা খোঁজখবর নেয়।সুচিকিৎসায় সুষমবাবু সুস্থ হয়ে একদিন বাড়ী ফিরলে বোধোদয় হয়। ছোকরারা আবার সেই লাল রকটিতে ভীষণ খুশী।আর কৃতজ্ঞতায় ভরপুর সুষমবাবু এখন অকৃতজ্ঞ হতে চান না।