নারী শিক্ষা, নারী প্রগতি, নারী স্বাধীনতা, নারী সুরক্ষা,
কতো শব্দবন্ধ শুনি ।
মানি।
শুনতে বেশ লাগে,
দেহে-মনে একটা উদ্দীপনা জাগে।
প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য,
পরিবার – সমাজ-দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য।
কিন্তু……….
দিনের শেষে কী দেখি!
সব কথার কথা, ভাষণেই সীমাবদ্ধ!
অন্তরের উপলব্ধি নেই এক ফোঁটা!
অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মেয়েটি স্বাবলম্বী,
বসলো বিয়ের পিঁড়িতে,
স্বপ্নের জলাঞ্জলি স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।
পেশা ছেড়ে নিপাট গৃহবধূ!
গার্হস্থ হিংসার শিকার,
একদা মুখরা মেয়ে মুখ বুজে মেনে নেয় সব,
প্রতিবাদী হলেই অগ্নিদগ্ধ – মৃত্যু,
পুরুষতান্ত্রিকতা বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না,
অতি সরলীকরণ এক ধরণের নষ্টামি মাত্র,
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীই নারীর শত্রু,
হাতে গোনা পুরুষ সঙ্গী হয়।
কিংবা রাতবিরেতে অফিস ফেরতা – পথে,
কুমারী বা যুবতী বধূ,
গণধর্ষণ থেকে মৃত্যু ওঁৎ পেতে ভাগ্যে,
এখানে নারীমাংসের শিকারী নরপশু,
দৈনন্দিন চিত্র চারপাশে।
শব্দবন্ধগুলো উপহাস করে নিয়ত,
নিজেরাই উপহাসের পাত্র হচ্ছি,
আমরাই সভ্যতার বড়াই করছি!
একইসাথে সভ্যতার কবর খুঁড়ছি!