বেদনার স্বরলিপি লিখে যাই রক্তের আখরে!
রক্ত জবার মত রক্তাভ প্রভাত আসে
কী অসীম যন্ত্রণা নিয়ে!
মানুষ মনুষ্যত্বের সীমাহীন অবমাননায়
ক্ষোভে দুঃখে যন্ত্রণায়
ক্ষত-বিক্ষত হই বারে বার!
প্রতিদিন খবরের পাতা ভরা অমানবিক
ঘটনায় বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই:
এটাই কি একবিংশ শতাব্দীর সভ্য-সমাজ!
মানুষ জীবন আজ কীটপতঙ্গের
চেয়েও কি মূল্যহীন?
নির্বিচারে একজন আর একজনকে
বুলেট বিদ্ধ করে, পিটিয়ে হত্যা করে!
মা-বোনদের ইজ্জত লুটে খায়!
আবার কি আমরা আদিম হিংস্র
বর্বরতার যুগে ফিরে যাচ্ছি?
কোথায় বিবেক, কোথায় মনুষ্যত্ব,
কোথায় মানবিকতা?
বন্য পশুও হার মানে এদের
পৈশাচিক আচরণে !
ঝরা শিউলির মত ফুটপাতে পড়ে
থাকে ধর্ষিতার লাশ!
কোথাও তালাবন্ধ ঘরে আগুনে পুড়িয়ে
মারার বীভৎস ঘটনা!
বেঁচে থাকতে যাদের খবর নেয়নি কেউ,
সেই সব মৃত লাশগুলোকে নিয়ে
ভাগাড়ের শকুনিদের মত টানাটানি চলে!
সেই সব ধর্ষিতা হতভাগ্য নিহতদের
পরিবারে একের পর এক প্রতিনিধিদল!
শোকের বন্যা বয়ে চলে!
চলে যাত্রাপালার কুশীলবদের মত
প্রবেশ ও প্রস্থান!
বেঁচে থাকতে যাদের খোঁজ নেয়নি কেউ,
আজ তাদের জন্য কত না তদন্ত কমিশন!
যাদের নাম কস্মিনকালে জানত না কেউ,
আজ মিডিয়া, সংবাদ পত্রে তাদের নাম
বিখ্যাত তারকাদের মত প্রাধান্য পায়!
কত নেতা, কত নেত্রীর কুম্ভীরাশ্রু
বিসর্জনের ঠেলায় আরও বেশি বিপন্নতা
গ্রাস করে সেই সব হতভাগ্য পরিবারগুলোতে !
শুকনো সহানুভূতি ছাড়া কিছুই মেলে না!
হায়! উলঙ্গ সভ্যতা! তবে কি ,
এদেশে জীবিত মানুষের চেয়ে মরা
লাশের দাম বেশি!
উলঙ্গ সমাজের এ উলঙ্গ যাত্রাপালা আর
কতদিন দেখতে হবে কে জানে?