বরুনার বুকে আমি আর সুগন্ধি খুঁজে পাইনা
আজ বুক খুললেই দেখি – বঞ্ছনার নির্মম চিত্র।
পঁচাত্তর বছর কেটে গেল
আজ বলতেই হয়, বলতে একটুও বাধেনা –
আজও ” কেউ কথা রাখেনি “।
আজ বড় দুর্দিন, আখড়ায়, আখড়ায়
বৈষ্ণব-বৈষ্ণবির চুল ছেড়াছিঁড়ি ,পেটপোড়া ক্ষিদে
কন্ঠির মালা ছিঁড়ে ভুলিয়ে দেয় আগমনী গান,তাই-
শুক্লা দ্বাদশীর অন্তরাটুকু অস্তিত্বহীন
এখন সিংহদুয়ার অতিক্রমে অঙ্গনময় সর্বভুক অমাবস্যা।
নাদের আলী কবরে যাওয়ার পর
সম্পর্কহীন মামার বাড়ির অবশিষ্ঠ নাদের আলীরা
তিন প্রহরের বিল দেখাবার স্তুতিবাক্যে শোনায়না
কারণ আজ তিন প্রহরের বিলে একটাও পদ্ম নেই
যার মাথায় সাপ খেলবে,ভ্রমর তো প্রেমই হারিয়েই ফেলেছে।
যন্ত্রবৎ কৈশোর প্রতিযোগীতায় বেতাল,
রয়েল গুলি না চেয়ে উন্নতির আশারমশগুল,অন্তিমে ব্যর্থতায়-
ভবঘুরে সাজে বড়োবাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে বিজয়োৎসব দেখে।
আজও চৌধুরীবাড়ির উত্তরপুরুষ আয়েশে ক্যাটবেরি চোষে-
আমার উত্তরপুরুষ লাঠি লজেন্সটুকুও না পেয়ে বুক ভরে কাঁদে।
বাবার কথা আজও ফললো না –
বাবা মরে গেলেন ,কি ভাগ্যিস দেখতে হলো না
আমাদের সংসার একই আছে পরিবর্ত্তনহীন
আমার কৈশোরের রয়েল গুলি,লাঠি লজেন্স ,রাস উৎসব-
অনাকাঙ্খিত বুক থেকে চিরতরে বিলীন হয়ে গেছে।
আজ আর বিশ্ব সংসার তন্ন-তন্ন করে একশো আটটা নীল পদ্মের অনুসন্ধান নেই
বড় বাজারে টাকায় অনায়াসেই লক্ষ লক্ষ মেলে ,
আমার বিত্তের অক্ষমতায় বরুনাও কথা রাখেনি, এখন তার বুকে পচা মাংসের দুর্গন্ধ।
পঁচাত্তরটা বছর কেটে গেল – এতো কথা দিয়েও কথা রাখেনি।