গভীর অন্ধকার আমাকে গ্রাস করে
মৃত্যুর পরোয়ান নিয়ে হাজির হয়
প্রায় প্ৰতি রাতেই!
আকাশ বাতাস স্তব্ধ হয়ে গেছে!
ভীষণ এক যন্ত্রণায় আমার মাতৃভূমি
আজ ঝুলে আছে আদৰ্শহীন তুলাদণ্ডে!
দুর্যোগের মৌমাছি ঘুরে বেড়ায়
মধুময় জীবনের প্ৰতি পদক্ষেপে
সমস্ত বিশ্বাস জুড়ে আজ ভাইরাসের
আনাগোনা!
দুঃসময় ছেয়ে থাকে পঙ্গপালের
মতো!
আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন
সেটাও দাবার গুটির চালের মত!
সাদা পোশাকে অতর্কিতে আঘাত
আসে কখন বা ছদ্মবেশে!
গড়ছে না কিছুই ভাঙার উৎসব
আজ দেশজুড়ে –
রাতদিন আকাশে ভাসে দীর্ঘশ্বাসের
পালহীন নৌকা…
মনের মধ্যে উড়ে বেড়ায় এলোমেলো
ভাবনার ডানাহীন পাখী
কখন হয়তো হিজিবিজি ভেবে
হাসি উদয় হয় কিন্তু মুহূর্তেই
উড়ে যায় চিতার ছাইয়ের মতো…
আর কবে এই কালো রাতের
চিতাভস্ম থেকে ভোরের রক্তিম
স্নিগ্ধ আলোর নবজন্ম হবে?
হে আমার প্ৰিয় দেশমাতৃকা
প্রয়োজনে এখনও শুদ্ধ রক্তের ফেনাতে
তোমাকে স্নান করাতে পারি,
আচ্ছাদিত করতে পারি মসৃণ
মোলায়েম চামড়া দিয়ে তোমাকে,
তোমায় সাজাতে পারি হাড়ের মালা দিয়ে,
তোমার সুখশয্যা হোক আমার হৃদয় দিয়ে
কবে আবার তোমাকে দেখবো নতুন রূপে
কবে তুমি ঝকঝকে মসৃণ তলোয়ারের
মতো নতুন ভোরের আলোতে জ্বলে উঠবে
চির অন্ধও দেখতে পাবে সেই আশ্চর্য আলো,
আর একটি মলিন মুক্ত ঝলমলে সুন্দর সকাল।