‘কী করে ঘুমাও তুমি এমন বিভোর? কিছুক্ষণ
পরেই উঠবে রোদ, দশদিক আলোয় নাইবে, পাখিদের
গানে পার্কে পাড়ার বাগানে
হবে গুঞ্জরিত ক্ষণে ক্ষণে। চোখ মেলে
দেখ, আমি সে কখন থেকে
দাঁড়ানো তোমার ঘরে অর্ভ্যর্থনাহীন। না, আমার
সামান্য কার্টেসি নিয়ে কোনও
মাথাব্যথা নেই। তুমি
আমাকে আনোনি ডেকে এখানে, বস্তুত
নিজেই এসেছি আমি এত্তেলা না দিয়ে, বলে সেই
নিভৃত কঙ্কাল ছেদ টানে হিমার্ত কথায়। বাক্যহারা
ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকি কঙ্কালের দিকে।
বিছানায় এসে বসে মুখোমুখি, চোখের কোটরে
চোখ নেই, তবু চক্ষুহীন দৃষ্টি তার
পোড়ায় আমাকে
কখনও, আবার সমবেদনায়
ভারি হয়ে ওঠে ওর কণ্ঠহীন কণ্ঠস্বর। ‘জানি তুমি
বড় ক্লান্ত, ঈষৎ হতাশ হয়তোবা
নানান সার্কাস দেখে। প্রিয় প্রকৃতিও
পারে না বুলোতে কোনও অব্যর্থ মলম
অন্তরের গভীর জখমে আর সুদূর একাত্তরের রক্তমাখা মুখ
আবার নতুন করে জেগে উঠে বিভীষিকা রূপে
পথে পথে, ঘরে ঘরে হানা দেবে ভেবে
এখন তোমার বুকে জমছে তুষার। হে বান্ধব,
শোনো বলি, এখনও সময় আছে, রুখে
দাঁড়াও অস্ত্রের উন্মাদনা, করো ব্যর্থ বর্বরের জয়োল্লাস।