ছয়তলা বাড়ি, বড় একা, চুপচাপ
দাঁড়িয়ে রয়েছে, রুক্ষ দরবেশ যেন। মাঝে মাঝে
ওর খুব কাছে যাই, প্রবেশ করি না। প্রবেশের
পথ নেই, সিঁড়ি নেই কোনও।
বারবার কাছে গিয়ে দেখি, আলো নেই,
মানবের সংলাপের পাই না হদিশ
কান পেতে রাখলেও। সেখানে বাশিন্দা আছে কিনা,
বোঝা দায়। কখনও কখনও
আলো জ্বলে ওঠে, অকস্মাৎ দপ করে নিভে যায়। ভ্রন্তিবশে
পাখিও বসে না জানালায় কিংবা ছাদে।
এতবার ছয়তলা বাড়িটার খুব কাছে গিয়ে
দাঁড়িয়েছি, অথচ কখনও
অন্য কোনও পথিকের সাক্ষাৎ মেলেনি। কী আশ্চর্য
যখনই সেখানে যাই, ভোরবেলা, প্রখর দুপুর,
অথবা বিকেলবেলা, নিমেষে সন্ধ্যার
গাঢ় ছায়া নেমে আসে। মনে হয়, আমার পা দু’টো
চকিতে জমিনে কবরস্থ, আমি কেমন আলাদা হতে থাকি।
ছয়তলা বাড়িটার অন্তঃস্থল থেকে
রহস্যের কণ্ঠস্বর ছাড়া
আজ অব্দি অন্য স্বর শুনতে পাইনি।