ওরে নির্বোধ, ওরে হঠকারী পদ্য-লিখিয়ে
কেন তুই শেষে এমন পদ্য লেখার নেশায়
মেতেছিলি এই সূর্য ডোবার একটুকু আগে?
বেশ তো বিকেলে ছিলি হাসিখুশি সুখের ডেরায়,
কেন মিছেমিছি পোড়ালি সে-ডেরা ভরসন্ধ্যায়?
ওরে নির্বোধ, অচল মুদ্রা, কেন রে নিজেকে
ভব্য রাখতে শিখলি না তুই? কেন প্রিয়তমা
নারীর হৃদয় এভাবে ভাঙলি হঠকারিতায়?
ওরে নির্বোধ, ওরে হঠকারী পদ্য-লিখিয়ে
অনেক গুণীর সহবৎ পেলি, তবুও শিক্ষা
হ’ল না তো তোর, মাতালের মতো টলতে টলতে
ঘুরলি বেঠিক পথে আর মুখ থুবড়ে পড়লি
নালা আর খাদে। তোর নামে কত কুৎসা রটলো,
ওরে নির্বোধ, এখনও কি ভুল নিবি না শুধ্রে?
সময় তো হায় বেশি নেই আর, এখন সবার,
বিশেষত তোর দয়িতার কাছে ক্ষমা চেয়ে রাখ।