তুমি কী সেই তুমি? আমার স্বপ্নচারিনী!
কেমন আছো তুমি?
তুমি কী সেই আগের মতোই আছো–অস্থির, চঞ্চল
খুব জানতে ইচ্ছে করে,,,,,
বেপোরোয়া কতো প্রশ্ন ওঠে আসে মনে,
তুমি সেই বেগানা মানবী
যাকে এঁকেছিলাম মনের ক্যানভাসে,
না না ভুল, আঁকতে আমি পারিনি
অসম্পূর্ণ এক ছবি ছিল সে যে—
এক ঝলক একটু দেখা, হাওয়ায় ওড়া চুল,
পরনে সাদা কাপড়ে লাল ফুল ফোটা ছিল ওতে
ভ্রাম্যমাণ পথিক তুমি সামনে দিয়ে চলে গেলে
পূজোর আলোর বন্যায় এক চিলতে আলোর রেখা আমার
দেখ চেয়ে, স্মৃতির দরজায় মরচে পরেনি এখনও
কতো রাত, কতো দিন গেছে কেটে তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে—-
আবার কী দেখা হবে অচেনা কোন পথের মোড়ে?
ঝাঁ ঝাঁ শূন্যতায় গ্ৰহণের প্রহর গোনা—
তবে কী সবই ফাঁকি?
স্মৃতির পাতায় মগ্ন ছিলাম একাকী—
কোন্ মায়ার যাদুবলে হঠাৎ সেদিন সামনে এলে তুমি,
ট্রাজেডির মেঘ সরে, বৃষ্টি এলো শহর জুরে,
দুরন্ত বর্ষায়, বহু পুরণো লালিত স্বপ্ন আবার ওঠে জেগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষে স্মৃতির নদীতে হারাই আমি
এক মধ্যরাতে টুংটাং শব্দে তোমার বার্তা এলো ভেসে
ট্রুকলারে দেখি তুমি, আমার বিগত যৌবনের স্বপনচারিনী,
কতো জল গেছে বয়ে গোমতী দিয়ে, ধ্বনি–প্রতিধ্বনি তুলে—-
বেলাশেষে বিবশ আমি মুঠোফোন হাতে,
তোমার হাসির ঊর্ণাজালে সহসা হারিয়ে অন্য আমি হই
কতো কিছু বলার ছিল তোমাকে, আজ সে শুধুই স্মৃতি—
বনলতাকে আঁকবো আজ আবার, আমার মতো করে—