মৃত্যুর গন্ধমাখা অন্ধকার রাতে-
জীবনের ভাঙচুর চলে,
কালো পেঁচার কর্কশ ডাক যেন লণ্ডভণ্ড ঝড়ের পূর্বাভাস;
আকাশ আজ অবাধ্য শেষ স্টপেজের গা ঘেঁষে,
প্রকৃতির আক্রোশের চাপা গর্জনে থমথমে প্রতি মুহূর্ত,
ধড়ফড় করে বুক ;
সর্বাঙ্গে ভয়ের আগুন জ্বলে ওঠে,
সব রক্ত যেন নিংড়ে নিতে চায়,
মৃত্যুর দেবতার বিরুদ্ধে লড়াই,
ভীরু আশায় অধীর প্রতীক্ষা।।
জীবনের শেষ প্রদীপ যেন তেলবিহীন দপ্ – দপ্ করে জ্বলছে ;
এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি,
সব কোলাহল ছাপিয়ে ধীরে ধীরে শেষ বিদায়ের বাঁশি বেজে ওঠে,
মুহূর্তে সব স্তব্ধ,
নিভে যায় প্রদীপ্ত দুই চোখের আলো,
কোথাও একফোঁটা আলো নেই, নিরন্ধ্র শূন্যতা;
বুকের ভেতরটা একেবারে খালি।
সাজানো বাগানে ঢুকে পড়ে মৃত্যুর দূত,
মৃত্যুর পোষাক যেন আলাদা,
কথা কয় আলাদা ভাষায়…. যেন কালো শব্দ
এই কী সহজ সত্য?
মৃত্যুর মিছিলে উৎসুক অতিথি চলেছে চৌদোলায়,
হাতে গোনা ক’জন শবযাত্রী শ্মশানের পথে পা বাড়ায়…..
পিছে পড়ে থাকে ঢেউয়ের মতো ফুলে – ফুলে ওঠা একবুক কান্না!
বহু যুগের ক্ষুধার্ত কান্না সর্বস্ব ভাসিয়ে নিয়ে যায়;
কোথায় চলেছ?
অস্ফুট স্বর বেরিয়ে আসে বোবা কান্নায় বন্ধ গলা থেকে,
হাতটা জড়িয়ে ধরে নিথর দেহ,
রক্ত ঝরা দুঃখের চীৎকার।
আগামী দিনের সুদীর্ঘ পথের বুকে মিশে থাকে,
এক একটা দিন হারাতে হারাতে হারায় সব আলো!
চলন্ত কালের অভিশপ্ত পথে পড়ে থাকে পোড়া ছাইয়ের স্তুপ!!