কালবেলা যে শেষ হয় না ফেরার বেলা হলে-
পাল্টেছে কী ঠিকানা, নাকি পাল্টে গেলি তুই!
স্মৃতির স্থগিত সময় মাঝে,
তুই বলবি সে আমি নই…
নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি স্পেক্টাপরা
চোখ দুটোতে,
কোন্ সীমানায় হারিয়ে গেলি তুই…
পথে পথে খুঁজতে গেছি তোকে
যেখানে তোর শেষ লেখাটা ছিল
সে পথ ধরে শীতার্ত রাত উষ্ণতা-ই যে খোঁজে…
কেমন আছিস তুই?
বোহেমিয়ান স্বপ্নগুলো আজও জ্বালায় তোকে?
আজও কী তুই অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে বাঁচিস!
তুই বলবি মন্দে-ভালোয় বেশ তো আছি বেঁচে;
ভাঙাচোরা পথে….
বাঁচার নামে সব যে গেছে ছুটে—
তোর ফুল বাগিচায় গোলাপ আজও ফোটে?
তুই বলবি সে আমি কী আছি?
কাটাকুটির সে সময় যে কখন গেছে টুটে
হৃদয় জুড়ে দখলদারির ফুলগুলো সব
বিবর্ণ আজ নিঃস্ব হৃদয় ছুঁয়ে..
রাতদুপুরে আমার জন্য বৃষ্টি চুরি করিস?
নদীর কোলের রঙ্গিন নুড়ি আমার জন্য আনিস?,
চিলেকোঠায় আমায় বিনা জীবনানন্দ পড়িস?
ইচ্ছে পথে এখনও সেই তেমন করে
আমায় ভালোবাসিস?
অনেক কিছুই ছিল,
বিলুপ্তপ্রায় পাণ্ডুলিপি,
আর যে ছিলি তুই,
গল্পবলা রাতে রৌদ্র নিবিড় হৃদয়—
থমকে ছিলাম দুজন, থমকে ছিল সময়;
দেশ-বিদেশের বইয়ের তাকে বেশ জমেছে ধুলো
বুক পকেটের কলমটা আজ-
এক কোণেতে পড়ে আছে দেখি,
ডেকোরেটেড চারদেয়ালে শো-পিসগুলোর মাঝে
অগোছালো সেই ছেলেটা কোথায় হারিয়ে গেল!!
চুপকথারা অশ্রুলাভা স্রোতে
স্থবির,
গাঢ় সবুজ অন্ধকারে,
পথ হারিয়ে বাঁচে,
…..আমি ভাবছি….
বনদোয়েলের সুরে, আমায় খুঁজে দেখিস।।