পেণ্ডুলামের কাঁটা টিক্ টিক্ শব্দে
নির্ভুল সময় মেপে চলে..!
ঘুম ভাঙে ফোনের নোটিফিকেশনে
হাতড়ে হাতড়ে সাইড টেবিলে পড়ে থাকা মোবাইলে
স্ক্রিন টাচ করতেই ভেসে উঠলো
আথেনীয় সভ্যতা এবং…?
…. শূন্যতা…!
তারপর…? তারপর…?
ধীরে মন্থর গতিতে দৃশ্যপট বদলায়;
ইউক্রেটিসের তীর ধরে হেঁটে চলেছে….
আসমানী নীল বসনা ষোলকলা পূর্ণাঙ্গ এক তন্বী,
নাভিমূলে খেলা করে ঘন মেঘের কুণ্ডুলী
সুরাইয়া গ্ৰীবায় পদ্মনাভ নীলা
ঘন কেশে সামুদ্রিক ফেনার ঊর্ণনাভ।।
আঙ্গুলের ফাঁক গলে পাহাড়ি স্রোতস্বিনী ঝোরা,
চোখ জুড়ে আগুন রাঙ্গা প্রবালের উষ্ণতা…
পেলবজুড়ে থোকা – থোকা আঙ্গুরের সোমরস,
মৃগনাভির গন্ধে পাগল হরিণী….
প্রেমাতুরা এক নারী হেঁটে যায় একা……!
রাত্রির শেষ প্রহরে শায়েরি’র ছন্দে-
মন্ত্রমুগ্ধ….!! আমি!!
শব্দের ঘূর্ণি ওঠে!
স্বপ্নের ঘোর ভাঙে উত্তরায়ণের ডাকে –
তবে কী তুমিই সেই নারী…?
ঋতুমতী বৈশাখ!
অতলান্ত কাল-সমুদ্রের গহীন থেকে ধীরে ধীরে ওঠে পা ফেলেছিলে,
তপ্ত বালিয়াড়ির কঠিন বুকে..!
হাকিমী চালে ভবঘুরে মেঘের বার্তা,
সে! এ-সে-ছে-এ-এ-এ…
দেয়ালের গা ঘেঁষে জানালায় উঁকি মারে রহস্যময় ছায়া-মূর্তি…
মনের উঠোনে…
রাতের প্রজাপতি বৈশাখের সৌধ রচনা করে।
নতুন বছরে রিতীমতো আমিরী চালে হালখাতায় স্বস্তিক চিহ্ন পড়ে;
উজানমুখী জোয়ারে বিস্তারের পুনরাবৃত্তি;
পায়ে পাথর বেঁধে চলা….!
অতঃপর……!!
“গিলগামেশ,” তুমিও বুঝেছিলে,
না বোঝার ভাষা বুঝে নেয় ভালোবাসা…