গলির শেষ প্রান্তে বুড়িটার ঘর।
টালির চালের সামনের টালিগুলো দাঁত খিঁচিয়ে থাকে কঙ্কালের মত-
গলিপথ ধরে দ্রুত বড় রাস্তায় যাওয়া আসার পথে
রোজ ডাকে সেই কঙ্কালসার বুড়ি।
দাঁড় করিয়ে জানতে চায় আমার কথা-
শিরাজাগা হাত নাড়িয়ে ইশারায় ডাকে সে।
আমার ব্যস্ত জগতে থামার ফুরসৎ নেই!
কর্মদানবের সাক্ষর মেলে না তাকে সঙ্গ দেবার অনুমতিপত্রে!
কাজের কথা বলে এগোতে চাইলে
তার দু’চোখে নেমে আসে হতাশার ঘোলা মেঘ।
গন্তব্যে পা বাড়াতেই অনুভব করি তার নিঃসঙ্গ চাউনি।
সেদিন ফেরার পথেও দেখা তার সাথে-
কাঁপা কাঁপা দুই হাতে বাড়িয়ে ধরে ক’টা পেয়ারা!
মুহুর্তের ঘটনা… তবু আমাকে কুরে খায় একজনমের অপরাধবোধ…
ব্যস্ততার জগৎ থেকে বাঁচিয়ে কিছু সময় তাকে আমি দিতে পারি নি!
সেই মন্থর নিঃসঙ্গ জগতের স্নেহের রসদ আজ কেমন করে গ্রহণ করবে আমার যান্ত্রিক শরীর?