বাংলার প্রাচীন লোকগীতের বিশিষ্ট ধারা ‘কবিগান’,
পৌরাণিক ঐতিহ্য,প্রত্যুৎপন্নমতিত্বসম্পন্ন বোদ্ধার তীক্ষ্ণ জ্ঞান l
কবিয়াল দ্বারা মুখে মুখে পরিবেশিত কবিগান,
বিশ্ব দরবারে লোক সঙ্গীতের বাড়ায় সম্মান l
দুটি ভিন্ন দল দ্বারা গীত,গানের মজাদার লড়াই,
সখী সংবাদ,বিরহ,লহর ও খেউর দ্বারা করে গানের বড়াই l
এক গানওয়ালা অন্যকে তাৎক্ষণিক সুরারোপে করে আক্রমণ,
বন্দনা বা গুরুগীতি দ্বারা কবিগানের শুভাগমন l
শ্রোতাজগৎকে চমক লাগানো শব্দ ব্যবহারের কলা,
মনঃসংযোগ আয়ত্তকরণে কবিগানের নেই জুড়ি মেলা l
ছন্দভঙ্গি, ধ্বনিতরঙ্গের মাধ্যমে প্রত্যুত্তরের রাখে দাবি,
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন,শ্যামাসংগীত,ভাটিয়ালির ছোঁয়া কবিগানে পাবি l
মুখে মুখেই প্রচারিত করেন কবিওয়ালাগন,
তৎকালীন সমাজ জীবনে ছাপাখানায় হয়নি মুদ্রণ l
উৎসব আনন্দের প্রয়োজনে পল্লীসমাজে বসতো আসর,
হিন্দু দেব-দেবীর আরাধনা কিংবা বিয়ের রাতের বাসর l
কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত কবিগানের বিশিষ্ট সংগ্রহ দাতা,
সর্বাপেক্ষা প্রাচীন কবিয়াল ‘গোঁজলা গুঁই ‘কবিগানের ত্রাতা l
সমাজের খুঁটিনাটি, ভালোমন্দ, সুখ-দুঃখের মিশ্রণে গাওয়া গান,
সমাজের সকল শ্রেণীর গানওয়ালারা কবিগানকে জানায় প্রণাম ll