ঘিঞ্জি গলির ভেতর একটুকরো ঘরের
ছোট্ট জানলা খুললেই ধরা দিত
আমার একমুঠো আকাশ ।
সূর্যের আলো ওই আকাশে প্রতিফলিত হয়ে আমার ঘরকে আলোকিত করত, আর
সূর্যস্নানে আমি শুদ্ধ হতাম ।
ধর্মের রক্তচক্ষু উপেক্ষা ,
জাতপাতের সংকীর্ণ বেড়াজাল টপকে,
স্বার্থপরতার হীনদৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে
হাঁটতাম।
রাতে চাঁদের আলোর পরশ মেখে স্নিগ্ধ চিত্তে ভাবতাম জীবন আসলে কি ।
পঞ্চরিপুদের তাড়াত পাড়ার কুকুর বেড়ালগুলো,
ওরা আমার ন্যাওটা। হয়ত দুবেলা খেতে পাবার প্রতিদান দিও এইভাবে।
আশপাশের বিবেকহীন জীবন্মৃত শবদেহের ওপরে সাধনা করতাম শুদ্ধ বিবেকের।
হটাৎই একটা বিক্ষুব্ধ মেঘ ঢেকে দিল একফালি আকাশটা , বন্ধ হল সূর্যের আলোর আনাগোনা, চাঁদ আর কিরণ ছড়ায় না ।
উপলব্ধির চরম সীমায় পৌঁছে আজ বুঝলাম —
আমিও স্বার্থপর ।
উত্তমপুরুষ নয় একজন পুরুষ হয়েই বেঁচে আছি ।