শত শহীদের রক্ত ঘামে ঝরা ,স্বাধীনতা আজ মুক্তি পায় ভিখারিনী অসহায়ের ,শতচ্ছিন্ন শাড়ির আঁচলে।
বন্ধুত্বের মধ্যেও অযথা রেষারেষি,হিংসার গুলিতে মায়ের কোল খালি হয়।
অকালে ঝরে যাওয়া মৃত্যু!তবুও স্বাধীনতা প্রাণ পায় পিৎজা, বার্গার হটডগ অর্ডারের আনন্দে,সেলফির কোলাজে।
ফেসবুক আপডেট,লাইক কমেন্টসের মাদকতায়।
পথের ধারে ভিক্ষা করতে বসা অন্ধ কানাইয়ের ছেলেটা কাল ,হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল!
তবু পেটের দায়ে আজ বাটি হাতে ভিক্ষায় বসতে হয়েছে কানাইকে,চোখের জল সম্বল করে ,অস্পৃশ্যতার নামাবলি গায়ে সেঁটে।
ভাগ্যিস অন্ধ সে,আর এই সব অন্ধ,খোঁড়া,
প্রতিবন্ধী মানুষ গুলোদের চোখের জলের রঙ কেউ কি জানো ?
তাদের আবার কষ্ট,কিসের দুঃখ মান,অভিমান!
ট্রেনে,বাসে ল্যাংড়া ,খোঁড়া ছেলেটা ঠিক কতটা ল্যাংড়া,অপারগ সেটা দেখে যদি হৃদয় থেকে দয়ামায়ার ফোঁটা বর্ষণ,
তবে তার ওপর নির্ভর করে বিবেচিত হয় দানের পরিমাণ এক টাকা,দু টাকা না পাঁচ টাকা,কি হবে সেটা।
দূরপাল্লা কেবল নয়,লোকাল ট্রেনেও বৃহন্নলা বাহিনীর দাপট,
বুক পকেট থেকে সুড় সুড় করে চালান হয়ে যায় দশ টাকা !
কিছুটা ভয়,কিছুটা আশঙ্কার কৌশলে তারা আদায় করে নেয় টাকা ,
অথচ পেছনেই অন্ধ ভিখারি,অক্ষম দাদুর জন্য “আজ খুচরো নেই,এই তো সেদিন দিলাম” শব্দবুলি বরাদ্দ!
পাড়ার গলিতে খেলা ডাংগুলি,মাঠের হাডুডু ক্রিকেট, কাদা প্যাচপ্যাচে ফুটবল খেলার সেই রোমাঞ্চ, উত্তেজনা আজ অস্তমিত!
স্বাধীনতার হাতছানি পেয়ে যুব সমাজ নিজেদের আচ্ছন্ন করেছে মরণফাঁদ জুয়া,সাট্টা ,রুমি,তাসের কতরকম ফের নেশার খেলায়!
স্বাধীনতার ফিস কবিরাজি,আজ ব্যঙ্গ করে জানি কাঁচা পোস্ত, পেঁয়াজ,লঙ্কা কুচি মাখা বাসি জল ঢালা ভাতকে!
তবু আমি বেশি নম্বর দেবো ,ইঁটভাটা মাঠে ঘাটে ,রোদে কাজ করা এই দিন আনা,
মেহনতী মানুষগুলোর পেট ভরানোর,
এত পরিশ্রম করতে পারার শক্তি যোগান দেওয়া এই ভরসা খাদ্য।
সময়ের রকম ফেরে,আধুনিক মনন চেতনায় স্বাধীনতা ঘুরে ফিরে আসে এক এক রকম ভাবে, চেনা অচেনার গন্ডি ছাড়িয়ে আসল স্বাধীনতার অস্তগামী সূর্য হয়ে।