Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » টেরাকোটার দেবদেউল কালাতীত মৃৎশিল্প || Manisha Palmal

টেরাকোটার দেবদেউল কালাতীত মৃৎশিল্প || Manisha Palmal

বাঙালী স্হাপত্য শৈলীর অসাধারণ নিদর্শন বিষ্ণু পুরের টেরাকোটার দেব দেউল গুলি। সপ্তদশও অষ্টাদশ শতক জুড়ে এই মন্দির গুলি তৈরী হয়ে ছিল মল্লরাজ দের পৃষ্ঠপোষকতায় ॥ শিখর…চালা…ও রত্ন এই তিন টি রীতি ই বাংলার মন্দিরের প্রধান নির্ভর॥ গর্ভগৃহের উপর আধারিত রেখ মন্দিরের শৈলী টিই বাংলা গ্রহন করেছে!
চালা মন্দিরে তিন ধরনে র রীতি…চারচালা…জোড়বাংলা…ও আটচালা …..! এদের ওপর নি র্ভর ক‌রে বাংলার নিজস্ব স্টাইল তৈরী হয়েছে।
চালারীতির মন্দিরের ওপর শিখরমন্দিরের শীর্ষ টুকু এক বা একাধিক বসিয়ে রত্নমন্দিরের প্রচলন হ য়েছে বিষ্ণু পুরেই॥রত্নে র সংখ্যা অনুযায়ী এক থেকে পঁচিশের মধ্যে চূড়া র হেরফের হতে পারে॥

”শ্যামরায় মন্দির ” টি পঞ্চরত্ন মন্দির …১৬৪৩এ তৈরী হয়!১৬৫৬. প্রথম একরত্ন মন্দির …..”কালাচাঁ দ” তৈরী হয়…..কি অবাক করা ঘটনা …..যে তের ব ছর আগেই পঞ্চ রত্নমন্দির তৈরী হ য়ে গেছে! এই অনামী শিল্পীরা মসজিদের গম্বুজ ওচারপাশের চারটি মিনা রের মতই পঞ্চ চূড়া র মন্দির ! শুরু হয় রত্ন মন্দিরের জয়যাত্রা॥ প্রথম শ্যামরায় মন্দিরের দেওয়ালেই প্রথম বৈষ্ণ বীয় মধুররসের মোটিফ দেখা যায় !১৬৫৫তে রঘুনাথ সিংহের উদ্যগে তৈরী হয় ”কৃষ্ণ রায়’ ‘ মন্দির যা লোকমুখে ”জোড়বাংলা মন্দির ‘ ‘ না মে পরিচিত। এখান কার প্রথম এক্ রত্ন মন্দির হল ”কালাচাঁদ”মন্দির যা মাকড়া পাথরে তৈরী॥
বিশুদ্ধ টেরাকোটা ছাড়া ও আরও তিন ধরনে র মন্দির এখানে দেখা যায় …..পোড়া মাটির মন্দিরে পংখ
মাকড়া পাথরেরওপরেপংখ আর
ফুলপাথর ॥
এই মন্দির গুলির অলংকরনের জন্য যে মিহিবালি ও শামুকের খোলপোড়া বা কলি চুন তাই পংখ না মে পরিচিত॥ পংখের প্রলেপ রীতি ও প্রাচীন অলংকরন পদ্ধতি॥ পরবর্তী কালের লাল জী ….মদন মোহন,রাধেশ্যাম,রাধামাধব ….সব মন্দির ই একরত্ন মন্দির ॥
১৬০০ সালে বিষ্ণু পুরের প্রথম উল্লেখযোগ্য স্হাপত্য….”রাসমঞ্চ ” তৈরী হয় মল্লরাজ বীর হাম্বিরের উদ্যগে। এর মুল আকর্ষণ হল অজস্র খিলানে র অসাধারণ ব্যবহার। গৌড়ে র বড় সোনা মসজিদের মতই মূল ইমারতের কাঠামোর মাথায় সার সার ছোট গম্বুজের মতই রাসমঞ্চের মাথায় ছোট চার চালা বা দোচালার বিন্যাস॥ মন্দি রের গায়ে ফুলেল লতার অলংকরন ॥
মাটির মত অতি সাধারণ উপাদান কিংবা সহজলভ্য মাকড়া পাথরের নি র্মাণ শৈলী সেই অনামী শিল্পী দের অসামান্য শিল্পশৈলী ও দক্ষতা কে প্রকাশ করছে॥

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress