রাঢ় এর লোক সংস্কৃতি,মঙ্গলগান
মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ইতিহাসের সাথে মঙ্গলকাব্যের খুব আন্তরিক যোগাযোগ।ধর্মমঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, শীতলামঙ্গলইত্যাদি নানা মঙ্গলকাব্য, মানুষের মঙ্গলের জন্যই রচিত।এইঅঞ্চল এর এক বিশেষ মঙ্গলগান হলো ”শীতলামঙ্গল” গান।”বোধ মানসিক ” নামক বিশেষ মনস্কামনা পূরণের জন্য এই পূজা ও মঙ্গলগান করা হয় ।আগে ”বসন্ত” রোগের খুব প্রাদুর্ভাব ছিলো।একে ”মায়ের দয়া” বলা হতো ।”বসন্ত” রোগের নিরাময়েরজন্য অনেকে মা শীতলার কাছে মানত করতেন,,,,একেই ”বোধ মানসিক ” বলাহয় ।
এই পূজোর দিনে মাতৃস্থানীয়া কেউ মায়ের ঘট নদী বা পুকুর থেকেজল ভরে মাথায় ক রে নিয়ে আ সেন।ঐ ঘটকে কুলো তে বসিয়ে বরণডালা সাজিয়ে পাঁচ বাড়ি ”মাঙন” করে নিয়ে ঘট স্থাপন করা হয় ।শোলা ও রাংতা দিয়ে বিশেষ চালচিত্র তৈরী করা হয় মা শীতলা র নামে।ওই চাল চিত্রের সামনে ঘট বসিয়ে পুজো করা হয় । রাতে হয় ”শীতলামঙ্গল গান”।
মূল গায়েন হাতে চামর নিয়ে কথকতার ঢঙএ মঙ্গলগান শুরু করেন ।দোহার ধ্রুবপদ গান ॥ গান চলে সারারাত ধরে।
শীতলা পুজোর এক বিশেষ রীতি হলো ”মাঙন”। ৩।৫।৭।৯বাড়ি থেকে ভিক্ষা নিয়েই পুজো হয় ।আগে প্রতিবাড়ি থেকে একমুঠি ক রে ধান নিয়ে ঐ ধান ঢেকিতে কুটে চাল তৈরী করে তার নৈবেদ্য হতো ॥
আধুনিকতার জন্য এই প্রথা বিলুপ্ত হতে চলেছে।
শীতলা পুজোর বিশেষ উপাচার হলো ,,,তেল ও সিন্দুর।মায়ের ঘট স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলের কোনবাড়ি তে রান্ন। বসে না॥