পোড়াতে ছিন্ন অস্থি
কে তুমি অদ্ভুত মেয়ে
রাত্রিকালে এসেছ শ্মশানে
হাতে জ্বলন্ত মশাল?
এ অস্থি পোড়ালে
নরকদ্বারে দাঁড়াতে
হবে চিরকাল।
কোন পুণ্যাত্মা নয়–
এ অস্থি এই শ্মশানের ডোমের,
যে ছিল সাক্ষী এইতো সেদিন
তবুও তো রইল না চিরকাল।
ও অদ্ভুত মেয়ে–
যার কাজ ছিল বিদায় জানাবার
সে নিজেই আজ অস্থিসম্বল।
এমনি জ্বলে না যা
তা কি করে পোড়াবে
অদ্ভুত মেয়ে?
পোড়াতে ছিন্ন অস্থি
কে তুমি অদ্ভুত মেয়ে
রাত্রিকালে এসেছ শ্মশানে
হাতে জ্বলন্ত মশাল?
তুমি ছাড়া এমন পাগলিনী!
চিনি মেয়ে তোমাকে চিনি
তুমি যে আমার বিশ্বজননী।।