বঙ্কিম তবু দৃঢ়তায় ঋজু উন্নত তাঁর শির,
উনিশ শতকে বাঙলা ভাষায় নব্যযুগীয় বীর।
বাংলাভাষার সার্থক রূপ দুর্গেশনন্দিনী,
অন্ধ রজনী সুবাসিত ফুলে, গৌরবে মৃণালিনী।
কমলাকান্ত একান্তে তার দপ্তর সামলান,
রথের মেলায় রাধারানী আজো পথ খুঁজে হয়রাণ।
শাখাহীন তবু বিষবৃক্ষ যে বিষে বিষে বিষময়।
জাতীয় স্তোত্র রূপে রসে গুণে আজো চির বিষ্ময়।
কৃষ্ণকান্ত করেন উইল রোহিনীরা দেয় প্রাণ ,
চন্দ্রশেখরে অমর প্রেমের আকুল সে আহ্বান।
সীতারাম নাম তবু নেই রাম কোথায় বা তার সীতা,
লিখেছেন তিনি ভাবগম্ভীর শ্রীমদ্ভগবত গীতা।
মুচিরাম গুড় জীবন চরিতে কত মধু আছে জমে,
ইন্দিরা সে যে ভাগ্যের পায়ে সিক্ত মাথার ঘামে।
পড়েনিও বাদ কৃষ্ণ কানাই রয়েছে চরিত মাঝে,
অপরূপ রূপে,লেখনীর গুণে সেজেছে নূতন সাজে।
গদ্যের পাতা ভরেছে নিত্য নূতন রীতির সাথে,
রাজসিংহের বীরত্বে আজো বসে কেউ মালা গাঁথে।
প্রশাসনে সেরা তবুও হৃদয়ে সাহিত্য অবিরাম,
আনন্দমঠ জাতীয়তাবাদে সকলের সেরা নাম।
প্রণাম জানাই ঔপন্যাসিক বাঙলার সন্তানে,
বঙ্কিমী রীতি বাংলাভাষার সার্থক সম্মানে।