পুরাতন দর্পণ ক্ষয়ে গেছে পারদের প্রলেপ,
আঁকিবুঁকি আবছা দাগ,
একদা স্বপ্ন দেখেছিলাম..
ছবির ভাঁজে পরিপাটি নিখাদ।
হঠাৎ ঝড়ে চুরমার টুকরো টুকরো কাচ জুড়ে
শুধুই ভাঙা স্বপ্ন,
শতচ্ছিন্ন আবেগ পঞ্চাশ বছরের
জীর্ণ প্রেক্ষাপট ধূসর ম্লান।
নির্জন মনের করিডোরে পদশব্দ শুনি,
এসেছে কী কেউ!
বিরান প্রান্তরে তপ্তবালি দুপায়ে মাড়িয়ে,
ঝাপসা জানালার কাচে ছায়াপড়ে দীর্ঘ….
তারই দেহের ফাঁক গলে আসে এক ফালি আলোকরশ্মি,
দর্পণে প্রতিফলনে ঝলকে উঠে শতরঞ্জিত
ভাবনার কণা।
দু’চোখে বিস্ময় ছুঁয়ে নামে হৃদয় গভীরে একাকিত্বের নিগুঢ় আঁধারে …
ছলকে উঠে রক্তস্রোতে মথিত ভাবাবেগ,
রক্তকরবী ফোটে জঞ্জালের আস্তাকুঁড়ে।
ছায়া পড়ে দর্পণে, বিমূর্ত ভাবনার দীর্ঘশ্বাস
উড়ায় স্মৃতির ধুলো ছায়াপথে….
নেভা প্রদীপ শিখা জ্বলবে কি, দূর হবে হতাশা,
চন্দ্রালোক ঢেকে দেবে নিঃসীম তমসা।
শুধু অপেক্ষায়……
সূর্যালোকে দর্পণে উঠবে জ্বলে বিচ্ছূরিত প্রভা!!