পুরানো সেই দিনের কথা
মন বাউলের নেই তো কোন শরমলাজ॥খালি পালাই পালাই করলেই চলবে তার॥দূরে চৈতি ভোরে যেই পাপিয়াটা ডেকেছে,,,”পিউকাঁহা” অমনি পাগোলমনের তারে পড়েছে টান,,,,,চলো চলো করে অস্থির॥”পিউ” কে খোঁজার তর নেই,,,,,,,! ওরে যাব কোথায়? কার খোঁজে?,,,,,,,,,
সেই যে,কিশোরীবেলার মনকেমন করা সময়,,,কে,
যাকে ফেলে এসেছি সেই আতরগন্ধী সঁাঝে,!!
মিষ্টি সুবাস ঘেরা সেই যে মায়াবীক্ষণ,,,,,,তার সঙ্গীসাথীরা,,,,তাদের পরানকথায়॥সব কে তো একসাথে পাব না!চল না স্মৃতির সরণীবেয়ে,,,,,ফেলে আসা ক্ষণে,,,,,,,,॥
চললো ফেরারীমন সেই অচিনপুরের খোঁজে, যেখানেচৈত্রশেষের উতল হাওয়ায় ভেসে যায় ঝরাপাতা॥সেই পাতার সাথে উড়েচলে আমার পাগোল মন,,,,,,,সেই অজানারসন্ধানে যাকে সে পেছনে ফেলে এসেছে অনেক কাল আগে॥
স্মৃতির সুবাসমাখা চৈতালি সন্ধ্যা!বসন্তোৎসবের আমেজ॥পলাশ,অশোক,শিমূলের রক্তিমায় রাঙা চারদিক॥তার সাথে মিশেছে প্রথমপ্রেমের রক্তিম উচ্ছ্বাস॥প্রকৃতি প্রেমে পড়েছে বসন্তের॥রূপে,গন্ধে,গানে মাতোয়ারা চারিদিক॥ এর সাথে যখন মানব মনন সংপৃক্ত হয় তখনই জন্মহয় কবিতার॥
কিশোরীর স্বপ্নের মত বেগুনী কলমীফুল দোলে ঝিলের জলে!একপা,একপা করে এগিয়ে চলে ফেরারীমন॥ঝিলের আয়নাজলে মুখ দেখে নীলাকাশ॥নালফুল উঁকি মারে॥ঝিলপাড়ের বাবলা,ঝঁাটি,আশশ্যাওড়ার ঝোপে বাতাসের ফিসফিস কানাকানি যেন সখীদের আলোচনা॥
ঝিলপাড়ের আবহ কে আনন্দমুখর করে তুলেছে॥
মন ভেসেছে ঝিলপাড়ে,,,,,,,দেখি একদল পানকৌড়ি এসেছে ভ্রমরের বিয়েতে॥পদ্মফুলে মধুখেতে বসেছে ভ্রমর,আর ওর গায়েহলুদ হয়ে গেছে॥ডাহুক,মাছরাঙা,কুঁচেবক একসাথে ভ্রমরের
বিয়েতে হৈচৈ করছে! প্রাণে খুশীর তুফান উঠেছে॥
বেনেবউ এর হলুদরঙা শরীরে আলতা রঙা ঠোঁটে খুশীর আমেজ॥ সাদা নালফুলের নোলক ঝোলে ঝিলের জলে॥জল মাকড়সার আলপনা ঝিলের জলকে অস্থির করে তোলে॥রাণীফড়িং এর ডানায়
চকচক করতে থাকে জলকণার হীরকদ্যুতি॥
সব দেখে বাউলমন॥মনের একতারায় গুন গুন
সুর ওঠে!সেই সুর ছড়িয়ে পড়ে দিগন্ত ছোঁয়ামাঠে,
ধানের ক্ষেতে,বাবলাফুলের হলুদে,কুকশিমার হলদেসাদা ফুলের ঝালরে॥মন উদ্বেল হয়ে খোঁজে
সেই হারানো সময় কে,যা ফেলে এসেছে ঐ ঝিলের পাড়ে॥আকাশ পাড়ি দেওয়া পরিযায়ী পাখিদের
ডানায় ভর করে যে সময় চলে গেছে দিগন্তপারায়ে॥আবার সে ফিরবে নব নব রূপে ,বাহারে॥ বাউলমনে তারই প্রতিক্ষা,,,,,,,,,
”আমি আশায় আশায় থাকি,,,,”