যদি কিছু খেতে দাও কবিতার জন্ম দিতে পারি
ক্ষিদের জ্বালাতে অক্ষরে লাল কালির আঁচড় পড়ে না
যদি খেতে দাও কবিতাতে ফুল নদী ঝর্ণা আনতে পারি
নূতন নূতন কবিতার আঁতুড়ঘরে খিলখিল হাসি ফোঁটাতে পারি
কবিতার আলোয় মনের ঘর আলোকিত করতে পারি
ক্ষিদের জন্য আমার কবিতাও কাঁদে বলে সব দুঃখ দেখা যায়
নদীর কলতান ঝর্ণার হাসি কিছু ই শোনা যায় না
একটু খাবার পেলে কবিতায় পরিযায়ী পাখিদের কুজন শুনবে
লিখতে লিখতে দেখবে কবিতার কোলে আশ্রয় নেব
যদি একটু খাবার পেতাম কবিতায় মোরগের মতো খাবার খাবার কেউ আর করবে না
আমার কবিতা তড়তড় করে সিঁড়ি দিয়ে উঠে বলবে
ঐ দেখো খবরের বোঝা নিয়ে রানার চলেছে
যদি একটু ও খাদ্য না পাই কবিতা কে দেশলাই কাঠি দিয়ে জ্বালিয়ে দেব
আমাকে একটু খেতে দেবে কবিতার জন্ম দিতে পারি!
খালি পেটে কেন যে কলমে রক্ত ঝড়ে না
তাইতো কবিতা রা ঘুমিয়ে থাকে চিরকাল।
একটু খাবার যদি পেতাম কবিতার আলোয় আলোকিত হতাম
আমার কবিতার সূর্যোদয় হোক সূর্যাস্ত নয়।
হে ঈশ্বর একটু অন্নসংস্হানের উপায় বলে দিতে পারো কি?
আমি চিরদিন কবিতার আলোয় বাঁচতে চাই