প্রতিশোধ
হাসপাতালে তুহীন ভর্তি ,ভেন্টিলেশনে আছে। মায়ার চোখে একবিন্দু জল নেই।বরঞ্চ খুশির ঝিলিক।
মায়াকে দীর্ঘ পনের বছর মানসিক,শারীরিক অসম্ভব অত্যাচারের ফল তুহীনের ভেন্টিলেশনে থাকা।
এত পাপ যাবে কোথায়??
মায়ার ইচ্ছা করছে সব নল টেনে খুলে দিতে। মায়া এদিক ওদিক তাকিয়ে মিষ্টি করে বলে… মনে পড়ে “যম “আমাকে দিনের পর দিন অত্যাচারের কথা।
দেখো ভগবান তোমার দুই হাত কেমন ভেঙে দিয়েছে।
“নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে”
আহারে নরকের কীট!!!
আমাকে গলা চিপে মারতে আমারো নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতো।
না ভগবানের ও তোমাকে স্পর্শ করতে ঘৃণা হচ্ছিল।
উনি তোমায় প্রতিশোধ নেননি…কি ভাবছ!!
আমার মত নিরীহ মহিলা কি করতে পারে!!
তিলে তিলে অত্যাচার করে আজ অমানুষ করে দিয়েছো।সারাক্ষণ প্রতিশোধের কল্পনা করতাম।আমার মনে এত জহর ঢেলেছ।আজ সুপারি কিলারের সাহায্যে….।
তোমার থাকা , না থাকা আমার কাছে অস্তিত্বহীন।এর চেয়ে বৈধব্য জীবন অনেক ভালো।
কিন্তু আমার অনুশোচনা হচ্ছে কেন!! আমি প্রতিশোধ নিয়ে ভুল করলাম।ওর আর আমার পার্থক্য কোথায়!!!
উনিতো আমার স্বামী।