দীর্ঘ শ্রাবণের বিকেল, বড় অসহায়,
চেনা মেঘেরা বেমালুম পথ ভুলে বসে আছে
আমি বাইরে দাঁড়াই একাকী
মেঘলা দিনের কথা, মনে পড়ে মাধবীলতার
বিষণ্ণ বিকেলে অবিরাম বৃষ্টি মেখে
তোমার ছোটাছুটি, গাঁয়ের সন্ধ্যের হাট ভাঙলে
লাল লজেন্সের প্রতীক্ষায় দীর্ঘতর ভেজা সন্ধ্যা
ক্রমশঃ কেমন কালো হয়ে যেত…
আজ এই শ্রাবণের বিকেলেও কিছু সময় কাটতে পারে নিজস্ব ভঙ্গিতে । হতে পারে কিছু রবীন্দ্রসংগীত, কিছু ফুল, কিছু কবিতা …
জোনাকিরা এসময় একটু চঞ্চল হয়,
ঘরময় ঘুরে বেড়ায় ;
তোমার বৃষ্টি ভেজা চুল দেখিনি বহুদিন
দীর্ঘ শ্রাবণের বিকেল, ঘাম ঝরায়
আকাশের নীল ধুলোর আস্তরণে ঢাকা পড়ে,
অচেনা পাখিরা আজ উড়ে বেড়ায় শ্রাবণের
মেঘের খোঁজে, ওরা চলে অজানা ঠিকানায় ।
অত:পর দীর্ঘ শ্রাবণের শেষ বিকেলে
তুমি স্নান সেরে এসে দাঁড়াও মুখোমুখি
তোমার অগোছালো ভেজা চুল, পিঠকে ভিজিয়ে দ্যায়, জল ঝরে টপ্ টপ্
শ্রাবণের বিষণ্ণ মেঘ ভেসে আসে
দাঁড়ায় ঝুল বারান্দায়,
এক পশলা বৃষ্টির পর শুভ্র বৃষ্টিরেণু
শ্রাবণকে কাছে ডেকে নেয়,
কৃষ্ণচূড়ার ডালে শালিক খেলা
করে, আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে, ভিজিয়ে
আর ভাসিয়ে নিয়ে যায়,
আমি একাকী– দাঁড়াই বাইরে
এই ভেজা শ্রাবণের সন্ধ্যায়
ভিজতে ভিজতে নিজেকে হারিয়ে ফেলি
কি জানি কোথায় !