তারাদের সাথে হাসি আমি রোজ
স্তব্ধ নদীটির কোলে যখন বিশ্রাম নেয় চাঁদ –
আমি অপলক তার শোভা দেখি।
কখনও হাওয়ার পরশে শরীর দুলে উঠলে কাঁটা ঝোপের আচড়ে বিক্ষত হই!
সন্ধ্যার আকাশে তারার আসর বসলে আবার মগ্ন হই আকাশ জলসায়..।
জোনাকির চঞ্চল নাচ বড় বিচিত্র!
ঝিঝির ঐকতান বড় মানানসই এই সান্ধ্য সবুজ মঞ্চে –
মহড়া অনুশীলন ছাড়া এমন রোমাঞ্চকর আবেশে কেমন করে মঞ্চ মাতানো সম্ভব কি জানি?
এমন স্বয়ংক্রিয়তার কাছেই তো বারবার নতজানু হই আমি!
নিবিষ্ট হয় আমার সকল অনুভব!
এখানেই শিরায় শিরায় জড়িয়ে আমার অস্তিত্ব।
এই জলাভূমি কাটা ঝোপ নলখাগড়ার সম্মিলিত আবাসেই আমার সার্থক জনম..।
চলনহীন সরনহীন ক্ষীণ অঙ্গ সঞ্চালনেই আমার প্রত্যাশা
দূর আকাশের নক্ষত্র জলসায় আমার নিত্য খুশির আয়োজন!
ভাসমান চাঁদের খেয়ায় আমার স্বপ্নের অলীক অভিসার!
হাওয়া বয় –
শুকনো পাতার শরীরে নেমে আসে জনিতৃ বিচ্ছেদ
আর মাটির আবাস জুড়ে নৈমিত্তিক মিলন আর জৈবিক পরিপোষণ!
সহাবস্থান..!
ফুলে-কা
কাঁটায়,দুর্মূল্য বৃক্ষে -অবাঞ্ছিত আগাছায়!
এই সহাবস্থান আছে বলেই হয়তো স্বয়ংক্রিয়তার এই অমোঘ নিয়ম!
এই জলাভূমির কাটা ঝোপের আগলেই আমার ক্ষণিকের বাস।
এখুনি তারারা হাসবে –
একফালি চাঁদের খেয়া ভাসবে নদীর জলে –
আমি হাসবো – আবার হাসবো..!