পারমিতা উত্তর পেলো
সুপ্রিয়া
পারমিতা,
আজ একবছর পর তোমার সমস্ত চিঠি আমার হাতে এলো।যেগুলো তুমি আমার স্বামীকে পাঠাতে।
তোমায় চিঠি লিখছি কারণ তুমি প্রায় ১০বছর ধরে একটানা চিঠি লিখে গেছো।তুমি হয়তো অবাক হবে এই চিঠি পেয়ে,হয়তো দু ফোঁটা চোখের জল ফেলবে!
তুমিতো আমার বরের অফিসে চিঠি পাঠাতে।ভাবতে বাড়িতে পাঠালে আমার হাতে পড়বে।আমি ও তাই তোমার অফিসের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম,নিশ্চয় ছমাস ধরে কোনো উওর পাচ্ছ না। উদ্বিগ্নে আছো!
মাসে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পেতে ,সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
না না শোন না আমার বর আমাকে বলে নি।তোমার সব চিঠি এক সপ্তাহ আগে আমার হাতে এলো।পড়তে সময় লেগে গেল।এমনিতে প্রেমিকের চিঠি ,টাকা পাচ্ছো না,তারপর এই চিঠিটা পেয়ে আরও অবাক হয়েছো নিশ্চয়!!!
আসলে তোমার বাড়িতে পাঠালে যদি তোমার স্বামীর র হাতে চিঠিটা পরে,আর তারপর তোমার জীবনে চরম অশান্তি নেমে আসবে।আমাদের অশান্তি আসবে না,তুমি নিশ্চিন্তে আমার বাড়িতে চিঠি পাঠাতে পারো।আমি চাইনা তুমি কোনও অশান্তিতে পরো।আমি চাই তুমি সুখশান্তিতে সংসার করো।
তবে তুমি আমার বরকে টাকার চাপ দিতে কেন?তাও প্রতি মাসে পঁচিশ হাজার।পাঁচ হাজার থেকে বর্তমানে পঁচিশ।ছ মাসের হুমকির চিঠিতে লিখেছ ,আমাকে সব ছবি পাঠিয়ে দেবে।শেষেরর দিকে শুধু হুমকি।ও তুমি কোনো অসতী মেয়ে।ব্লাক মেল করে টাকা অর্জন করো।মিডিয়াতে ছবি ছাড়বে বলেছো।না তুমি ছেড়ো না।
আমার বর টাকা দিতে পারছে না তো আমি দেব।ছয় মাসের দেড় লাখ দেবো।আমি চিঠি লিখতে পারি না।আমার হয়ে একজন লিখে দিচ্ছেন।পরের চিঠিতে ফোন নম্বর চাই।ও ফোন নম্বর জানো?ফোনে কথা হলো বেশ।আমার কাছে বরের কথা জানতে চাইলে।আমি কথা বলেই গেলাম।শুনতে পেলাম তোমার ফ্ল্যাটের কলিংবেলের আওয়াজ।তোমার মুখে শুনলাম পুলিশ!!!তোমার ফোনটা একজনের হাতে ।ওরা জানালো তোমাকে ধরতে পেরেছ।আমার বরের মৃত্যুর জন্যে তুমি দায়ী।
তবে আমি চাই একবার দেখা হোক আমাদের।
কিছু প্রশ্ন আছে আমার মনে?আশা করি, আশাহত করবে না?আমার একটাই প্রশ্ন বরকে দিনরাত অশান্তিতে রেখেছিলে কেন ১০বছর ধরে।কেন তুমি আমার বরকে নিয়ে খেলছিলে।?কেন বলোতো এমন করলে তুমি?
হয়তো এই চিঠি পেয়ে তুমি এড়িয়ে যাবে।হয়তো পড়ার পরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে চিঠিটা।তবে আমি কিন্ত্ত তোমার অপেক্ষায় থাকবো। জেলেতে ভালো থেকো সারাজীবন
ইতি-
বিবর্ণ পত্র