এই যে সারাক্ষণ অশরীরী আততায়ীর মতো
আত্মগোপন করে থাকা ,
অনুগত বাতিল শব্দের অভিশাপে দীর্ণ রাত জাগা ,
স্পর্শ -শূন্য ওম- হীন নিঃসঙ্গতার ধ্যানে
নিমগ্ন ডুবে যাওয়া ,
পরমা পরমায়ুর অকাল বিসর্জনের ঢাক
শুনতে পেয়ে ভিজে ঘুমে সপসপে জেগে ওঠা ,
এগুলো কি নিতান্তই ঐকান্তিক
চিত্রকল্পের জীবন্ত অপব্যয় নয় ?
জনমনের নিবিড় আদর না পেলে
নাকি কবিতা ক্ষণস্থায়ী হয় !
শুধু ভুলে যাই ,
ভালবাসার সুতীব্র অনুভূতির ভান্ডার
ক্রমাগত খরচ করতে করতে কবিও কাঙাল হন ।
কবিও তো পেতে চান একান্নবর্তী লেপের উষ্ণতা ।
অথচ সকলের গুরুভার দুঃখ শোক
অনুশোচনা আর অপরাধবোধের
তাপে পুড়তে পুড়তে কবিও একদিন
নির্জন নাভিকুন্ড হয়ে যান !
একমাত্র উদ্বিগ্ন শব্দের মুখগুলি
জেগে থাকে কবির শিয়রে ,
একমাত্র শব্দই গড়ে চলে
খন্ড খন্ড ক্ষণজীবী আনন্দধাম ,
এপিটাফে ঘাসফুল হয়ে ফোটে কবির কবরে !