জল ‘জলবৎ তরলং’ ছিল তো এককালে,
তৃষিতের তৃষ্ণা নিবৃত্তিতে তৃপ্ত হতো সকলে,
মানবের উচ্ছ্বাসে আর অতিলোভের ফলে-
সেই জল বর্তমানে প্রচণ্ড বায়ুপ্রদূষণের কবলে।
জল সংঘাতে চলে দেশ-বিদেশের রাজনীতি,
জলজ বৈচিত্র্যতা কখনো বহন করে সম্প্রীতি,
মানবের স্থাপনার চাপে ক্রমশঃ হারাচ্ছেগ্ট্ গতি;
ভূগর্ভস্থ জলেও আর নেই স্বচ্ছতা ও মিষ্টতা অতি।
সময়ের কালব্যধি কেড়ে নিয়েছে নদীর নাব্যতা••
ধীরে ধীরে গ্রাস করছে পৃথিবীকে মরুর শুষ্কতা,
আগামীতে আসন্ন নিদারুণ জলকষ্টের বার্তা
প্রকৃতির করালগ্রাসে ক্রমশঃ লুপ্ত পেয়জলের সুগমতা।
তবুও জলকে জীবন মেনেই চলছে সংরক্ষণ,
তাও অন্তরায় আজ প্রবল পর্যাবরণ দূষণ,
এ ধরার বুকে আগামী প্রজন্মের বিলাপ, ক্রন্দন-
শুনেও প্রতিকারে অসহায় ও বিফল মানববন্ধন।
অতৃপ্তি বুকে নিয়ে আজ ধুঁকছে বসুমাতা,
দেরী হয়ে গেছে তাই নদী জলেও অপ্রতুলতা,
বিশ্বপরিবেশবিদ্ আক্ষেপে দেখে অরাজকতা-
চিন্তাক্লিষ্ট আজ,নেই যে পেয়জলের সুগমতা।
মানবের অবিমিশ্রকারিতায় প্রকৃতি আজ চঞ্চল,
তীব্র হচ্ছে জলসংকট ভাবী প্রজন্মের শুধু হলাহল,
এক পশলা বৃষ্টিতে যদিবা মেলে সুমিষ্ট পেয়জল–
জনসংখ্যার নিরিখে তাও যে হবে বড়ই অপ্রতুল।।