একটা শিমুল হেঁটে যায় ওদিকে, ওদিকটায় হেঁটে যায়
প্রেয়সী তোমাকে দেখিয়েছিলাম সেইপথ, তারপর সেই
পথ ধরে বাজিয়ে গেলে সঠিক রাগিণী
রাগিণী জাগে বাতাসের চুপিসারে
রাগিণী বাজে হৃদয়তন্ত্রীতে
রাগিণী গেয়ে গেয়ে যাও, নির্ভেজাল
আলিঙ্গন থাক, পড়ে থাক ।
আজ আমি ফুঁ দিয়ে ওড়াবো একটা শিমুল
ফেটে আসা রেশমির জাল বুনব আকাশে
ফাঁদ পেতে রেখে দেব, দূর থেকে দূরে,
একদিন ঈদের চাঁদ ঠিক ধরা দেবে চুপিসারে,
আমি গোপন ভঙ্গিতে জাগাবো ময়দানের ঘাস,
ঘাসের আলোয় ঠিক শিখে নেব বর্ণ পরিচয়
বর্ণ পরিচয় তোমাকে জানার
তোমার রাগিণী, গভীরতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখবো
কিংবদন্তীর নতুন হওয়া, নতুন আলোর শিখায় ।
একটা শিমুল হেঁটে যায় – ওদিকে, ওদিকটায় হেঁটে যায়
প্রেয়সী তোমাকে দেখিয়েছিলাম তার ঝরে যাওয়া
হেমন্তের দিনগুলোর মত তুমিও চিনেছিলে আপন নিলয়
নিলয় না জানি এক অভিসারিকা
নিলয় না জানি জমায় রক্ত, দানা মেঘ
নিলয় না জানি বাতাসের পথে পথে পরিব্রাজক
শেষ পথে দেখা হলে নিজস্ব ভঙ্গিতে দেয় কবরী চুম্বন ;
আজ আমি ওড়াবো শিমুলের খোলস থেকে বেরিয়ে
আসা এক টুকরো শাদা মেঘ । ফুঁ দিয়ে ভাসাব দূরে,
মেঘেদের দেশে ওরা যাবে, কথা কবে ওরা আজ,
ফুঁ দিয়ে শিমুল ওড়াতে ওড়াতে, আমি এক নারী বৃক্ষলীনা, গাছ হই,
শিখর উড়িয়ে দেই আকাশে; হাওয়ায় ওড়াতে ওড়াতে, নিজেকেই হারিয়ে ফেলি
কি জানি কোথায় !