রূপোঝুরি জ্যোত্স্না মাখা মায়াবি রাত।
রূপার থালার মত গোল চাঁদটা জ্যোত্স্না ঢালছে চরাচরে ।
আবছায়া মায়াবী ওডনার পেলবতায় স্নিগ্ধ রাতের শরীর।
চরাচর শ্রী মন্ডিত——
শ্রীদেবীর আরাধনায় প্রকৃতি ও সামিল!
শিউলি সুবাস মাখা শিশির ঝরছে টুপ টুপ করে!
থলকমলের ফুলে শিশির সোহাগ।
দিঘির জলে একটি একটি করে শাপলা-শালুক চোখ মেলছে—
পদ্মকলির ঘুম ভাঙ্গেনি এখনো !
চোখ মেলা শাপলা আবেশে তাকায় প্রেমিক চাঁদের পানে।
তার বুকভরা বিষাদ , অনন্ত বিরহ তাদের মাঝে!
তবুও “চাঁদ কুমুদীরনামে রটে অপবাদ”!
এ রাত রুপকথার রাত ,মা লক্ষ্মীর পরান কথায় বোনা।
জ্ঞানী উলুক খুঁজে চলে পরান কথার ব্রতী কে—
” কে জাগে রে ?”—-
জাগে পাকা ধানের সোনা রঙে শিশিরকণার হীরক দ্যুতি।
ভ্রমরা কুলের উজানী নগরে সপ্তডিঙ্গা সাধু ধনপতির সোহাগী রানী খুল্লনা করে কোজাগরী ব্রত— সে জাগে ।
জ্ঞানী উলুক ডাক দেয়—- শুন সর্বজন
সম্পদ দাত্রী মা লক্ষ্মী পূজনে ধন সম্পদের বৃদ্ধি
চরাচর শস্য-শ্যামলা, ফুলে ফলে ফসলে উপচে পড়ে সমৃদ্ধি!
আর জাগে আমার বাউল মন,
ঘরছাড়া বিবাগী পরিযায়ী ডানার কাঁপনে,
মন যে চায় উড়ান টানতে ইচ্ছে ডানা মেলে!
কোজাগরী রাত নিজে জাগে নিদালির মন্ত্র পড়া চরাচরে—
টুপটুপ ঝরে পড়া শিশিরের সাথে—-।