জন্মান্ধ তুমি
কখনো তো দেখ নাই চাঁদ
শুনেছ চাঁদের গল্প
চাঁদ দেখতে কেমন –
পান-পাতা মুখ, কখনো এক ফালি তরমুজ
ভাত খাওয়া শেষ হলে তোমার হাতের
তালুর স্পর্শে থালার যে পরিধি মাপো
চাঁদকে সেভাবেই তুমি
ধরে রাখতে পারো, আরে জন্মান্ধ হাতের
স্পর্শে এঁকে দিতে পারো কলঙ্ক
আর জ্যোৎস্না –
কেঁপে ওঠে ঠোঁট
তোমার বুকে প্রবাহমান কালোনদী
যা তুমি দেখো অনন্তকাল দুচোখ ভরে-
তোমার আকাশ কালো, রৌদ্র কালো ,
কালো ধূলিকনা বুকে জড়িয়ে কিভাবে জ্যোৎস্নার
সৌন্দর্যের আকার দেবে –
জন্মান্ধ তুমি
তোমার হাতের স্পর্শে আমাকে বুঝতে শিখেছ
বিশ্বাসে বিশ্বাসে ভরিয়েছ তোমার পৃথিবী
ভরিয়েছ তোমার স্বপ্ন
তোমাকে যা দিয়েছি এতদিন ভালোবেসে
তাই বিশ্বাসে নিয়েছ
যদি কখনো তোমার হাতে তুলে
দেই বিষকুঁড়ি আকন্দ, বলি গোলাপ
জানি তোমার বিশ্বাসে সেই কুঁড়ি
একদিন অনিন্দ্য গোলাপ হয়েই ফুটবে।
( কবি জাহিদ হায়দারকে স্মরণে রেখে )