ঢাকের উপর পড়ছে কাঠি
কি মজা ভাই অনেক ছুটি
মায়ের আরাধনায়।
শব্দ শুনে ভুলিস নাকো
আনন্দ স্রোতে ভাসিস নাগো
পড়িস না বিড়ম্বনায়।
মা আসছেন,আকাশ হাসে, কাশের বনে দোলা
স্বপ্ন আঁখি সুরমা মেখে ভাসায় সুখের ভেলা
আগমনির সুর ভাসছে ,জাগছে দশভূজা।
মেঘ ভাসছে,মন হাসছে ,নানান খুশির মেলা
দুটিমনের মিলন আশে কাটছে অধীর বেলা
জানি,জানি বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ এ পূজা।
ভুলিস নে ভাই ,করোনা ওতপেতে আজ বসে
বিশ্বমাঝে মৃত্যু ছড়ায় গর্বিত হাসি হেসে
নিরুপায়,অসহায় আজ ধরণী আচ্ছন্ন শোকে।
বাবা গেলন,মা গেলন ,গেলেন প্রিয়জন
অর্থহীন পরিবারের সামর্থ আজ কৃপণ
রুটি,রুজিহীন ভুখার মিছিল বাড়ছে ক্রমে,ক্রমে।
জানি জ্বলবে আলো ,চলবে মানুষ ,যাবেও কেটে দিন
শুধু মনের মানুষ থাকবে না কাছে হয়েছে অন্তহীন
বাজুক বীনা আলোকমালায়,শুধু থাকবো নাগো ভ্রমে।
ডাকরে মাকে,শিউলি- শাঁখে, চন্ডীরূপে যেনো-
অসুর ছেড়ে করোনা বধে – তোমার ত্রিশূল খানি হেনো
অশ্রুসজল চোখরমনি অপেক্ষাতে হোক সফল ।
ভক্তি থাক,শ্রদ্ধা থাক, থাক সাবধানতা
সচেতনতা রাখবো বজায় ,মানবো না অধীনতা
করোনা ধ্বংসে – “দুর্গা মাইকি জয়” সমস্বরে বল।
হাসবো,খেলবো ঘরেতেই ডাকবো মাকে
আনন্দ স্রোতে না ভেসে ,বলবো ডেকে,ডেকে
ধৈর্য ধরো, বিপদ হর ,আমরা ভয় করবো না।
চোখে জল থাকবে না ,আনন্দের বান ডাকবে
নতুন বস্ত্রে আগমনীর নতুন সূর্য উঠবে
আসছে বছর আবার হবে কোন বাধাই থাকবে না।