ঝোপের আড়ালে জমে থাকা জলবিন্দুর
মতো স্থির হয়ে আছি ,
জীবন নদীর তরঙ্গে ভেসে চলার পরিসমাপ্তি ঘটেছে আজ,
শেষ বন্দরে ভিড়েছে জাহাজ।
সেই শুরুর দিন থেকে, নোংরা আস্তাকুড়ের লোলুপ জিহ্বার লালারসে মিটেছিল তৃষ্ণা,
আশ্রয় দিয়েছিল বারবনিতা মাসি,
অন্ধকার বস্তিতে হয়েছিলাম লালিত পালিত।
মনের মাঝে উঠতো ঝড় , কেন আমি এখানে?
সভ্য সমাজের উদগ্র কামনা বাসনার ফল,
‘মা ‘ শব্দটার উপর জমেছিল ;এক পাহাড় পরিমান ক্রোধ,
আধুনিক স্বেচ্ছাচারের ফল ভোগ করছি আমি নিরুপায়,
সত্বা ও সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় মুহূর্তেই,
পড়ে যবনিকা, শেষ হয় অভিনয়!
তার মাঝে পড়ে থাকে জারজ ,
কোন এক ফাগুনের আগুন খেলা শেষে পড়ে থাকা ছাইএর মতো ।
জমা থাকা রাগ অভিমানের তরঙ্গায়িত নদীর সাথে, ভেসে চললাম অপরাধের অলিগলিতে।
মনের মাঝে লুকিয়ে রেখে নীলচে রঙের আকাশ,
ক্রমশ আকণ্ঠ নিমজ্জিত হচ্ছিলাম পাপের সমুদ্রে।
এই বিশাল পৃথিবীতে এক অনাহূত অতিথি,
প্রশ্নের পর প্রশ্নের ঘেরাটোপে যে আজন্ম আবৃত,
তমসাচ্ছন্ন আবছায়া পথে খুঁজে ফিরি অজানা ভালোবাসার ঠিকানা।
অবশেষে নহবত বসেছে আজ,
দূর থেকে ভেসে আসছে বিসর্জনের ঢাকের শব্দ,
সবুজ ঘাসের গালিচার বিছানায় শুয়ে আছি মৃত্যুর অপেক্ষায়,
ভীষন ভাবে চাইছি ,একটা সকাল আমার মতো,
আধাঁর শেষে ভোরের আলোয় আলোকিত হবে আমার শরীর,
সেই আলোতে সব কালিমা যাবে মুছে,
সব না পাওয়ায় হিসাব ভুলে,
মিলিয়ে যাব সুদূর দিগন্তে,
শুরুর না পাওয়ার তৃষ্ণা অবশেষে মিটবে অন্তে।