কত রাত ,কত দীর্ঘ রাত,মুক্ত বায়ু –
আর ভরা জ্যোত্স্নার আলো মাখবার দীর্ঘ অপেক্ষায় –
আমার চঞ্চল যৌবনকে দুই পায়ে দলেছি ।
কত অমাবশ্যাকে প্রতিহত করেছি । কিন্তূ হটাৎ –
দেখি ভরা গঙ্গার পলিজমা বুকে এসে থমকে গেছি ।
আমার হৃদয়ের যত প্রত্যাশা শায়িত মৃত্যূশয্যায় ,
বাঁকা পথের আলসে ধরে চিল ,শকুনের দৃষ্টি ।
নদী ,মাঠ ,ধানক্ষেত আর আমার প্রেমের শীষমহল –
ধ্বংস ,নির্লজ্জ আধুনিকতার আক্রমণে ।
অথচ একদিন নীলাকাশে ছিল কত স্বপ্নের বিচরণ ।
এখন ঘুমহীন সকালে বিষাক্ত প্রকৃতির আস্ফালন ,
ক্যান্সার ,মধূমেয় অসহায় চোখের দুঃস্বপ্ন ।
পৃথিবীর চোখে চোখ রেখে অসময়ের বিদ্রুপ ,
খাঁচায় বন্দী ডানাহীন পাখিদের নিষ্ফল কান্না ,
অরণ্যের প্রেতাত্মা ঘুরে মরে রাতের রাজপথে ।
এসো ,শতাব্দীর বুকে একেঁ যাই প্রতিবাদ ,
সব বাধা ভেঙে লিখে যাই ইতিহাস ,আগামী দিনের –
সব বাধা ভেঙ্গে রঞ্জিত করি আকাশের কালো দেওয়াল ।
গভীর অকুলতায় আকালের যত অভিশাপ ,
জেগে উঠুক পরশুরাম ,পরাজিত হোক্ শয়তান ।
আজ দেখি দিকে দিকে শুধু ভাঙ্গার আয়োজন ,
মায়ের চোখে জল,ভায়ের রক্তে রত্নের পাহাড়ে বসে লোভ।
যন্ত্রনা কবলিত নিষ্পাপ কবুতর ভাষাহীন –
নিশ্চুপ ,শুধু মৃত্যূর প্রহর গোনে ।
আজ ধেয়ে আসুক কালবৈশাখী-
ভেঙ্গে দিক যত ভাঙ্গনের দুরভিসন্ধি ।