ঝরণা !
তুমি পর্বত শিখর চূড়া থেকে
অঝোর ধারায় ঝড়ে পড়ো,
প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ো —
কিন্তু তুমি কি জানো! তুমি যাবে কোথায়?
জানো না!
অবশ্য না জানারই কথা।
আচ্ছা তুমি যখন ঐ শিখর চূড়া থেকে
ঝরে পড়ো
তখন তোমার হৃদয়টা দুমরে – মুছরে
যায় না!
হয়তো যায় —
হয়তো কত কষ্ট পাও তুমি
কিন্তু কেউ দেখতে পায় না
তোমার সেই কষ্ট,
সবাই তখন তোমার সৌন্দর্য্য
উপভোগ করতেই ব্যস্ত
তোমার ব্যথা অনুভব করবে কখন !
হয়তো নদী তোমার কষ্টটা বুঝেছিল,
তাইতো সে তোমাকে তার বুকে ঠাঁই দিয়েছে —
আর তুমি নদীর বুকে এসে
কেমন শান্ত স্নিগ্ধ হয়ে কল কল বেগে বয়ে চলেছো
স-ব কষ্ট, সব ব্যথা ভুলে।
কিন্তু সে তো ক্ষনেকের জন্য
জানো না! নদীকেও যে তোমায় ছেড়ে যেতে হবে
মিশে যাবে কোন্ অকূল সমুদ্রে —
যার ঠিকানা ,তোমার জানা নেই ।।