একার নয়,সবারই এখন ঘুরে দাঁড়াবার সময়
বাংলার কন্ঠস্বরে হয়ে ওঠা একুশের গানে
যেভাবে আমাদের ভোর রাতের ঘুম ভাঙায়
আর একুশের ডাকে খুলে দেয় যে স্বপ্ন ভরা চোখ
সে চোখে নতুন পৃথিবীর নতুন সূর্য্য ওঠা
দেখতে দেখতে আমাদের সত্যি সত্যিই
পুনর্জন্ম হয়, পুনর্জাগরণ হয়
দেশ ভেঙে দেশ গড়ার নির্মম মুহূর্ত থেকেই
মাতৃভাষার মর্যাদার যে অনিবার্য দাবি ছিল
দামাল তরুণ দলের ছিল সুকঠিন ব্রত
পদ্মা মেঘনার জলে তার উত্তাল ঢেউ ছিল
ফাগুনের গায়ে ভাষার আগুনের ফুলকি ছিল
আর ছিল রক্তের বিনিময় মূল্যের দৃপ্ত শপথ
ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশ যখন আসে
সে আসে সূর্য্য-দীপ্ত এমন উজ্বল আলোক ছটায়
যেন মাতৃভাষা মমতা জড়ানো মায়ের মুখে
ঝড়ের পাখির মতো ডেকে ওঠে সুরের আলাপে
শহীদের বিলাপে বাংলার ধুলো মাটির উঠোন ভাসায়
ফুল মালায় রক্ত চন্দনে রেঙে উঠে বাংলার মুখ
একুশ এলে এপার-ওপার দুই পারেই বাংলা জাগে
অশ্রুসিক্ত একুশ এসে শাসকেরে ঘৃণা দাগে
রক্ত শপথ হৃদয় জুড়ে চেতনার একুশ আঁকে
আর দেশে দেশে অমর একুশের ডাক পাঠায়
একুশ এলেই বুকের ভেতর হাপর ওঠে
ফুসে ওঠে রক্ত নদী
একুশ মায়ের মুখের ভাষায়
গর্জে ওঠে নিরবধি
একুশ আসে বছর বছর নিয়ে স্বপ্ন আঁখি
সেই একুশের পথে, চলো,এক সাথে পা রাখি ।