দেখা – না দেখা স্বপ্নগুলোর ভেতর দিয়ে
যেতে যেতে
পথচারী হওয়ার আগেই ছুঁয়েছিলে মন
আজ সকাল থেকেই মুসলধারে বৃষ্টি
পথঘাট সুনসান নির্জন বলে ভীষণ আপসেট
একা একা পথিকের অপক্ষার মুহূর্ত গুনছে
আর একাকিত্বের শূন্যতা ভুলিয়ে দিচ্ছে ভিজে হাওয়া
আমার জানালার কাঁচে বৃষ্টি ভেজা সকালের মতো
ভেসে উঠছে জলে ভিজে এক শা তোমার আশ্চর্য্য
অদৃষ্টপূর্ব চোখ ও মুখ…
যেন এই মাত্র তিস্তা জলঢাকা পেরিয়ে তোর্ষার জল থেকে
উঠে আসা তুমি যেন এক জলপরী
এই মুহূর্তে তোমাকে জলপরী ভাবতেই ইচ্ছে করছে খুব
তোমার শরীরে এখন পলি মাটির আশ্চর্য্য ঘ্রাণ
মর্মের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা কথাগুলো
হাওয়ায় লুটোপুটি খেতে খেতে গড়িয়ে যায়
নয়ানজুলির জলে
ঘুমবারান্দার জানালার কাঁচে ভেসে ওঠা
তোমার
অনাবৃত ভেজা শরীর বুকে দীর্ঘ চুল ছড়িয়ে
লজ্জা ঢাকো তুমি
এরকম কোনও দৃশ্য এভাবে দেখার এতটুকু ইচ্ছে
কখনও কোনদিনই ছিলনা আমার
বিশ্বাস করো,আমার এ’জীবনে সুনীলের নীরা হয়ে
আজও আসেনি কেউ
তাই আমার জীবনকে ঠিক পূর্ণ জীবন বলে
মনেই হয়না, মনে হয় শুধু কোথায় যেন কি একটা নেই
তবুও বেঁচে আছি,কবিতাকেই নিয়ে আছি প্রেমিকার মতো
যৌবনের অহংকারগুলো তোমার নিপুণ ভঙ্গিমায়
বদলে ফেলছে ভেজা পোশাক-আসাক
আর এই বৃষ্টি রঙের সকাল
তোমার দিকে অনিঃশ্বেষ তাকিয়ে তোমার ভেতর
খুঁজতে থাকি সুনীলের সেই নীরাকে
আমি জানি এই সব সমারোহের পরও এভাবে কেউ
এত সহজে কাছে আসেনি কোনদিন
বুকের ভেতর শুধুই উঠেছে ঝড়
ভাবত ভাবতে আমি দু’হাতে আমার শরীর খুলে ফেলে
কংকাল হয়ে লুকিয়ে পড়ি আমার বুকের ভেতর
বিশ্বাস করো,আমার লেখা- না লেখা কবিতাদের
পাশে নিয়ে ঠোঁটের ফাঁকে প্রেম রেখেই কাটিয়ে দেবো
আমি এ’জীবন আমরণ
তুমি জলপরী হয়েই থেকো জীবনে আমার
অপার স্রোতধারায় উত্তাল ঢেউয়ের শব্দে
মিশে থেকো তুমিও আজীবন
আমি অপেক্ষা করে থাকবো
পারো যদি পরজন্মে হলেও আমার জীবনে এসো
যদি অনিবার্য্য হতে পারি সেদিন
এই জলপরী নামেই তোমাকে ডাকবো সেদিন
অন্য কোন নামে তুমি সেদিন সাড়া দেবেনা আর ।