ডাক্তারের জ্বালা
বাবা ডাক্তারকে সর্বদাই সন্দেহের চোখে দেখতেন
ডাক্তার যদি তরুণ হয় বলতেন
এ তো একদম ছোকরা।এ কী রোগ ধরতে পারবে?
বয়স্ক ডাক্তারের খোঁজ করে ভাবতেন
আধুনিক চিকিৎসার বিষয় কতটা তার জানা।
বর্তমান সব ডাক্তারের ভিজিট শুনে চমকে উঠতেন।বলতেন, এরা কি মানুষ? সব ডাক্তার ব্যাটা কসাই?এরা মানুষের সেবা নামে মানুষ খুন
করে।
এটাই ছিল বাবার নিজের সমস্যা কোন ডাক্তার যদি কম ভিজিট নিতেনন, তাতে তিনি খুশি হলেও
মনে করতেন এই ডাক্তারের রুগী কম হয়।
আরও খুশি হতেন ডাক্তার কম ওষুধ দিলে। বলতেন এযাত্রায় বেঁচে গেলাম।তবে বিশ্বাস হয় না তাকে।তিনি ভালো করে দেখলেন তো?
আমি বললাম ডাক্তার যদি বেশি ওষুধ দিত,তবে
তুমি এই কথাই বলতে
তিনি অকারণে বড্ড বেশি ওষুধ দিলেন, নির্ঘাত ওষুধ কোম্পানি থেকে ভেট পান।
আবার ডাক্তার যদি টেস্ট করাতে বলতেন ,
তবে বলতে এ আজকালকার ডাক্তারের ফ্যাশন।রুগি দেখে রোগ ধরতে পারেন না।ফালতু রুগির খরচ বাড়ায়। মনে হয় ওরা সব কিছু ভুলে যায়। ঠিক মনে রাখতে পারে না।তাই
ডাক্তার বেশি টেস্ট করতে দিলেই বলতে
টেস্ট ক্লিনিক থেকে নির্ঘাত কমিশন পান।
বিরক্ত হয়ে বললাম,তোমার ডাক্তার দেখানোর
দরকার নেই।
ডাক্তার তাড়াতাড়ি রুগী দেখলে
বলতে ডাক্তারটা খুব কমার্শিয়াল,
সময়ধরে দেখলে, সেই ডাক্তার একেবারে আনকোরা ।
ওষুধের গুণে রুগী ভালো হয়ে গেলে বলতে
রোগটা খুব একটা জটিল ছিল না তাই ওপারের
দরজা খোলে নি।
ওষুধ খেয়ে রুগী ভালো না হয়ে মারা গেলে,
ডাক্তারের ব্যর্থতায় কিংবা অবহেলায় লোকটা অকালে গেল।
তোমাদের মত রুগী দেখতে গিয়ে আর রক্ষে নেই । গেল বুঝি ডাক্তারের প্রাণটা। ধর ব্যাটাকে, মার শালাকে। ডাক্তারের পোড়া কপাল।