১২ তারিখ বলেই আজ করলাম গিন্নীকে হাগ!
গিন্নীর তিরিক্ষে মেজাজ,দেখেই হল ভীষন রাগ!
বলল বুড়ো বয়সে এসব আবার কি ভীমরতি
আজই জ্বালাবে আমার ফেসবুকে লাল বাতি।
চিৎকার করে গিন্নী জুড়ে দিল ভীষণ কান্না
বলল বুড়ো বয়সে আর এতো ভাল লাগে না
শেষে কিনা তোমারও হল মাথার গন্ডগোল
কাজের মেয়ে ঢুকেই বলে কিসের শোরগোল?
ও দিদা তুমি না একেবারে দেখি যাচ্ছেতাই
বলছি আমার আজ বিকেলে কিন্তু ছুটি চাই
শোননি ভালেন্তি পুজো চলবে এক সপ্তাহ ধরে
তাই যাব আজ বাজারে ফিরব কেনাকাটা করে।
বাপের জন্মে শুনিনি সে আবার কি পুজো রে তুমি দাদুর থেকে জেনে নিও আমি গেলে পরে
তার মাথার ঠিক নেই কদিন বেড়েছে পাগলামি
দাদুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাব ভাবছি আমি।
হাঁপাতে হাঁপাতে গিন্নী বলল আমায় এসে
মহারাণী আসবে না বিকেলে আজকে সে
আজ ভালেন্তি পুজো দিতে যাবে ওরা নাকি
এই পুজোর ইতিহাস তুমি কিছু জান কি?
তেমন কিছু না গিন্নী সাহেবী পুজো আর কি
জানতে চায় সে সাহেবী পুজো আবার কি?
পুজো দেওয়ার ইচ্ছে যে মনেতে দিচ্ছে উঁকি
সত্যি বলতো মজা ছাড়া জীবনে আছে কি?
হ্যাঁ গো পুজো আরম্ভ হয়েছে গোলাপ দিয়ে
এনেছিলাম গো তোমার জন্য গেছে শুকিয়ে
তারপর চকলেট দিয়ে তোমার ভেজাতে মন
এনেছিলাম কিনে, দিতে সাহস হয়নি তখন।
ফেসবুকের পাল্লায় পড়ে ভেবেছিলাম আমি
চেষ্টা করে একবার হতে চাই আইডিয়াল স্বামী
এনেছি যে তোমার জন্য এই গোলাপি টেডি
পাঁচদিন হয়েছে পার তুমি হও এবার রেডি।
শুনে গিন্নীর হো হো করে সে কি অট্টহাসি
জানো না গিন্নী তোমাকে যে বড্ড ভালবাসি
এই কদিন ছুঁয়ে দেখিনি ছাইপাঁশ ওই বিষ
ভেবেছিলাম ১১ তারিখেই করব প্রমিস।
আজ পড়ছে মনে সেই তোমার প্রথম কিস
সে সব দিন তুমি কর না বুঝি আর মিস?
শুনেই দিল যেন সে এক সাহেবী কায়দায়
আচমকা পড়লাম মাটিতে গিন্নীর ধাক্কায়।
বাঁধানো দাঁতখানা গেল আমার আজ খুলে
১৪ তারিখের কথা তো বলব না আর ভুলে
ভেবেছিলাম মনে শেষ দিনে বেড়বো জোরে
বেরসিক গিন্নী থাকলে তার কপাল পোড়ে।