একটা মুখ কাঁদায় হয়ে শীতের রাতে পথে অনাথ শিশু,
মেলায় বাজিকরের খেলায় একটি মুখ মুখোশ প’রে হাসায় |
খেয়ার নায়ে ওপারে যেতে কবে যে কোন ভিড়ে
একটা মুখ এক নিমেষে অকূল স্রোতে ভাসায় !
কার সে মুখ, কার ?
জানে কি তারা-ছিটানো অন্ধকার !
সে মুখ যারা দেখে নি তারা জানে না জ্বালা নিদান যার নেই |
শীতের দিনে পোহায় রোদ উঠোনে বসে আরামে কাঁথা গায়,
ঝুমকো লতা দেয়ালে তোলে, মরাই রাখে ভ’র,
ফল কি ফুল পাড়তে শুধু নাগাল ডাল নামায় |
হোক সে মুখ যার,
অনিদ রাতে কাঁপে না অন্ধকার |
সে মুখ যার পড়েছে চোখে ঘরে-ই থাকে যায় না সেও বনে,
বসত করে পাঁচিল ঘিরে, হিসেব করে পুঁজি যা আছে ভাঙায় |
তবুও কোন হতাশ হাওয়া একটা ছেঁড়া ছায়া
তারার ছুঁচে সেলাই ক’রে রাত্রি জুড়ে টাঙায় |
কার সে ছায়া, কার ?
প্রাণেশ্বরী পরমা যন্ত্রণার |